দিল্লির হিংসায় নীরব দর্শক কেজরিওয়াল ও কেন্দ্র, রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ কংগ্রেসের
এবার দিল্লির হিংসা নিয়ে আপ-কে তোপ দাগল কংগ্রেস। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসে এক প্রতিনিধি দল। সেখানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে একটি চিঠি দেন কংগ্রেস নেতারা। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া সেই চিঠিতে কেন্দ্রের নীরবতার অভিযোগও তুলেছে কংগ্রেস।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন সনিয়া গান্ধী
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে কংগ্রেসের অন্তরবর্তিকালীন প্রধান সনিয়া বলেন, 'পরিস্থিতি সামাল দিতে ও অশান্তি ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে কেন্দ্র ও নব নির্বাচিত আম আদমি পার্টি সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এই সময়ে পরিকল্পনামাফিক ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে দিল্লির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। মানুষের বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। লুঠপাট চালানো হয়েছে।'
দিল্লি হিংসার কড়া নিন্দায় মনমোহন সিং
এদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, 'আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে তাঁকে বলি যে তিনি যাতে এই বিষয়ে কেন্দ্রকে পরামর্শ দেন। দিল্লিতে গত চার দিনে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় এবং জাতীয় লজ্জার বিষয়। এতে কমপক্ষে ৩৪ জন মারা গিয়েছে এবং কংপক্ষে ২০০ জন জখম হয়েছে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।'
দিল্লিতে হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু
শনিবার শুরু হয় দিল্লিতে সিএএ সমর্থক ও বিরোধী পক্ষের সংঘর্ষ। এরপর বুধবার পরিস্থিতির এতটা অবনতি হয় যে রাজধানীতে সেনা নামানোর পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবারের পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার আগুন আরও জ্বলে উঠছে দিল্লিতে। গত তিন দিনের হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে অশান্ত এলাকায় খবর সংগ্রহে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষের সামনে পড়েছেন সাংবাদিকরাও। জানা যায় মঙ্গলবার এক সাংবাদিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। জখম অবস্থায় পরে সেই সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদ্য বিবাহিত থেকে ৮৫-র বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন দিল্লির হিংসায়
সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দিল্লিতে মৃত ব্যক্তিদের সিংহভাগেরই চলমান হিংসার সঙ্গে কোনও যোগ নেই। তবে দিল্লির এই অশান্তি যে কতটা ভয়াবহ আকার নিয়েছে তা জানা যায় এটা থেকেই যে হিংসায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে যেমন রয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল ও আইবি অফিসার, তেমনই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য বিবাহিত এক ব্যক্তি, একজন ডিজে, এক ব্যবসায়ী, একজন বাবা যে তাঁর সন্তানদের জন্য টফি কিনতে বেরিয়েছিলেন, একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা।