করোনা প্রকোপে অর্থনীতিতে ধস, কেন্দ্রের কাছে কী আশা ব্যক্ত করলেন সনিয়া গান্ধী?
করোনা ভাইরাস রুখতে দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। আর এর জেরে দেশের অর্থনীতির উপর খুব চাপ পড়বে। এমনই আশঙ্কার কথা শোনালেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি তিনি এই আশাও ব্যক্ত করেন যে দেশকে এই অর্থনৈতিক সংকট থেকে তুলে ধরতে কেন্দ্রের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে।
করোনা ভাইরাস রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি
করোনা ভাইরাস রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতি। গত দুই সপ্তাহ ধরে ভারতেও একই পরিস্থিতি। এর জেরে থমকে রয়েছে অর্থনীতি। যারা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারছেন তারা করছেন, না হলে কর্মহীন ভাবে দিন কাটছে কয়েক কোটি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি যে ধসে যাবে তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। আর এই ধসের জেরে দেশে চাকরির অভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ।
চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ
ব্যবসার অস্তিত্বই লাভ করার জন্য। উৎপাদন না হলে, বিক্রি হবে না। মানে, লাভ হবে না। যার মানে, কর্মী নিয়োগ হবে না। ব্যবসাগুলো স্বল্প সময়ের জন্য অনাবশ্যক কর্মীদের ধরে রাখে, এই আশায় যে, পরিস্থিতি ফিরে আসলে যাতে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি বেশি খারাপের দিকে এগোতে থাকলে তারা আর কর্মীদের ধরে রাখবে না।
খাদের কিনারায় ঝুলে রয়েছে অর্থনীতি
বর্তমানে খাদের কিনারায় ঝুলে রয়েছে অর্থনীতি। সৌজন্যে ভারতে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের প্রকোপ। গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে শেয়ারবাজারে ধস নামছে বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কার জেরে। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসে কাটছাঁট করেছে এসবিআই-এর মতো সংস্থাও।
করোনার জেরে বিশ্বজুড়ে মন্দার প্রভাব ভারতেও
করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে মন্দা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই। এর প্রভাব প্রথমে পরোক্ষ ভাবে পড়লেও পরে তা প্রত্যক্ষ ভাবেই পড়তে শুরু করে ভারতের উপর। আর জেরে দেশের বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন।
দেশের বাণিজ্য প্রভাবিত
বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দিতেই ভারতের ৫৩ শতাংশ বাণিজ্য প্রভাবিত হয়েছিল। সেই পরিমাণ এখন ৭৩ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে দেশের ৫০ শতাংশ কোম্পানিতে অর্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
নগদ প্রবাহ নেই অর্থনীতিতে
এদিকে করোনার জেরে নগদ প্রবাহ কমে গিয়েছে। দেশের ৮০ শতাংশ সংস্থার নগদ প্রবাহে টান পড়েছে। কাচা মাল ও উৎপাদন নিয়ে চাপে পড়েছে কম বেশি সব সংস্থা। চাহিদার অভাবে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে যাচ্ছে উৎপাদনের মাত্রা। পরবর্তীতে এই উৎপাদন আরও পিছিয়ে যাবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। এই সকল পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই কেন্দ্রের কাছে সনিয়া গান্ধীর আবেদন, যাতে দেশে অর্থনীতিকে তলানিতে ঠেকতে না দেওয়া হয়।