বিজয় মালিয়ার কিংফিশার থেকে সুযোগ নিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধীও, এসএফআইও-র চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
বিজয় মালিয়ার কিংফিশার থেকে সুযোগ নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তবে সেই সুযোগের কথা সনিয়া গান্ধী জানতেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্তকারী সংস্থা এসএফআইও-র তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।
বিজয় মালিয়ার কিংফিশার থেকে সুযোগ নিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তবে সেই সুযোগের কথা সনিয়া গান্ধী জানতেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্তকারী সংস্থা এসএফআইও-র তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।
ইউপিএ আমলেই তৈরি আবার ইউপিএ আমলেই ব্যবসা গুটিয়েছে বিজয় মালিয়ার কিংফিশার। প্রায় ৯ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক ঋণ বকেয়া রেখে এই মুহূর্তে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিজয় মালিয়া। কিন্তু তাঁর এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনই একটি সংস্থা হল এসএফআইও। তাদের দেওয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০০৭ থেকে ২০১০-এর মধ্যে তৎকালীন সরকারের সব থেকে ক্ষমতাশালী থেকে আধিকারিক সবাইকেই সুবিধা দিয়েছিল কিংফিশার।
সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ২০০৭ এবং ২০১০ সালে সনিয়া গান্ধীকে দেওয়া সুবিধা। দুক্ষেত্রেই বিদেশ যাত্রার ইকোনমি ক্লাসের টিকিটকে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিটে পরিবর্তন করে দেওয়া হয় বিনা পয়সায়। এসএফআইও-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কম্পিউটার থেকে বাজেয়াপ্ত কা হয়েছে এই তথ্য। কিংফিশারের পদাধিকারী বিজয় অরোরা বিজয় মালিয়াকে ইমেল পাঠিয়ে বিষয়টির জন্য অনুমতিও নিয়েছিলেন বলে এসএফআইও-র রিপোর্টে প্রকাশ। তবে সনিয়া গান্ধী জ্ঞানত এই সুবিধা নিয়েছিলেন কিনা তা অবশ্য পরিষ্কার নয়।
ইকোনমি থেকে ফার্স্টক্লাসে বিমানের টিকিট পরিবর্তনের জন্য দেশের ভিতর প্রায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি টাকা দিতে হয়। অন্যদিকে, বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ গুণ টাকা বেশি লাগে।
ইউপিএ আমলে একের পর এক ব্যাঙ্কলোন পেয়েছেন বিজয় মালিয়া। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা না মিটিয়েই বিদেশে পালিয়েছেন বিজয় মালিয়া। কিন্তু ব্যাঙ্কলোন পাওয়ার ক্ষেত্রে খুশি করতে ইউপিএ সরকারের প্রধান, সরকারি আধিকারিক এবং ব্যাঙ্কের কর্তাদের বিদেশ যাত্রার টাকা কিংফিশার মিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এসএফআইও। যদিও এসএফআইও-র অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।