বিরোধী ঐক্যের মুখ কংগ্রেসই! মমতার ডাক পেয়ে জোটের দাবি জোরালো সোনিয়ার
১৯শে ’১৯ দখলের বার্তা দিতে একযোগে ব্রিগেড সমাবেশেরও ডাক দিয়েছেন মমতা। সেই ব্রিগেডে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও মমতার সুরে সুর মিলিয়ে জোট বার্তা দিল কংগ্রেস।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে জোট গড়ে নরেন্দ্র মোদীকে গোল্লায় পাঠানোর বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি '১৯ দখলের বার্তা দিতে একযোগে ব্রিগেড সমাবেশেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। এবং সেই ব্রিগেডে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও মমতার সুরে সুর মিলিয়ে জোট বার্তা দিল কংগ্রেস।
রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল-সোনিয়ারা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন, জোট গড়েই আসন্ন লোকসভায় লড়াই করবেন তাঁরা। কংগ্রেসের আলোচনায় উঠে এসেছে, মোদী শাসনের অবসান ঘটাতে একা লড়াই করলে হবে না। সহযোগী দলগুলিকে নিয়েই চলতে হবে। কেননা এককভাবে ম্যাজিক ফিগারে যাওয়ার জায়গায় নেই কংগ্রেস। তাই জোটসঙ্গীদের নিয়েই ২০১৯-এ ম্যাজিক দেখাতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই জানিয়ছেন বিজেপি শাসনের অবসান ঘটানো একা কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব নয়। যে রাজ্যে যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তাকে গুরুত্ব দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এদিন সরকারিভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। সার্বিকভাবে জোট গড়েই কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হটাতে লড়াইয়ে নামবে।
[আরও পড়ুন:'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা' মোদী যোগ্য জবাব পেয়েছেন আলিঙ্গনে! রাহুলে মজেছেন সাংসদ]
মমতা মুখে ফেডারেল ফ্রন্টের কথা বললেও, সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলই জানে, কংগ্রেস ছা়ড়া বিজেপিকে হারানো যাবে না। কেননা একমাত্র কংগ্রেসেরই প্রতি রাজ্যে জনভিত্তি রয়েছে। এই মুহূর্তে কংগ্রেস ও বিজেপিই দেশে প্রধান প্রতিপক্ষ। তাই কংগ্রেসকে নিয়েই জোট গড়তে হবে। এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, দেশে বিজেপি বিরোধী জোটের প্রধান মুখ হবে কংগ্রেসই। সেই লক্ষ্যেই এখন থেকে প্রচার শুরু করবে কংগ্রেস। রাজ্যে রাজ্যে জোট আবোচনা শুরু করবে সহয়োগী দলগুলির সঙ্গে।