ফেডারেল ফ্রন্ট নয়, লড়তে হবে রাহুলের নেতৃত্বেই! মমতাকে আর কী বললেন সনিয়া গান্ধী
বিজেপিকে হঠাতে হলে দেশের সব থেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে লড়াই করতে হবে সবাইকে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় এমনটাই জানিয়ে দিলেন সনিয়া গান্ধী।
বিজেপিকে হঠাতে হলে দেশের সব থেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে লড়াই করতে হবে সবাইকে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় এমনটাই জানিয়ে দিলেন সনিয়া গান্ধী। আর ভবিষ্যতে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা যে কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গেই করতে হবে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। তবে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতার গুরুত্বের কথাও জানাতে ভোলেননি সনিয়া।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, লোকসভার ভোটের পর আঞ্চলিকদলগুলিকে নিয়ে গঠিত তাঁর প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্ট সরকার গড়ার মতো জায়গায় গেলে কংগ্রেস বাইরে থেকে তাকে সমর্থন করুক। বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনার এই ফলাফলের কথা আগেই পৌঁছে গিয়েছিল সনিয়া গান্ধীর কাছে। সেক্ষেত্রে তাঁর আলোচনা করতেও সুবিধা হয়েছিল।
একইসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সম্পর্কেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন সনিয়া গান্ধী।
বুধবারের বৈঠকের পরও এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার দলিত নির্যাতন আইন নিয়ে বিরোধীদের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল। তবে সেই দলে যোগ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁদের দল বিষয়টি জানত না। যদিও কংগ্রেসের দাবি, দলটির নেতৃত্বে রাহুল থাকায় সেখানে যায়নি তৃণমূল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই রাজ্যে সেই দলের নেতৃত্বে বিরোধী জোট গড়ে উঠুক। এপ্রসঙ্গে কর্নাটকে দেবগৌড়াকে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে ত্রিপুরার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি চেয়েছিলেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করুক কংগ্রেস। যদিও তা হয়নি।
কংগ্রেসের যুক্তি ১৯৯৭ সালে দেবগৌড়া কিংবা ইন্দ্রকুমার গুজরালের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে কংগ্রেস বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু সেই সরকার স্থানীয় হয়নি। কেননা আঞ্চলিকদলগুলিরই কোনও স্থায়িত্ব ছিল না। আর মমতার প্রস্তাব মেনে নিলে সারা ভারতে কংগ্রেসের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করে কংগ্রেস আসন বজায় রেখেছে। এখন সেই জায়গায় তৃণমূলের নেতৃত্বে লড়াই হলে, তৃণমূল কখনই অধীর চৌধুরীকে মেনে নেবে না। এরকম ঘটনা রয়েছে বিহার, উত্তর প্রদেশেও।