কৃষি আইন ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে কংগ্রেস! সনিয়া গান্ধীর নির্দেশে তুঙ্গে তরজা
এবার কৃষি আইন ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে কংগ্রেস। কেন্দ্রের এই আইন যাতে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে লাগু না করা হয়, তার জন্য আইনি পদক্ষেপ খোঁজার কথা বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এই মর্মে এদিন তিনি সকল কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দেন।
সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস সাসংদ
একদিকে যখন পাঞ্জাব-সহ দেশের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। তখন অন্যদিকে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। তবে তাঁরও আগে এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস সাসংদ টিএন প্রথাপণ।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছেই। অনেকের অভিযোগ, এই কৃষি আইন কৃষক বিরোধী। কৃষক স্বার্থের কথা ভাবেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকের স্বাধীনতা খর্ব হবে। শস্যের আধিপত্য যাবে কর্পোরেটের হাতে। ফলে কৃষকদের আরও দুর্দশার মুখোমুখি হতে হবে।
কৃষক সংগঠনগুলির দাবি
পাঞ্জাবে গত বেশ কয়েকদিন ধরে রেল রোকো কর্মসূচি জারি রয়েছে। অমৃতসরে রেললাইনে বসে অবস্থান-বিক্ষোভ করছে কিষাণ মজদুর কমিটি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই বিক্ষোভ জারি থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে তারা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, বিরোধীরা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে। এই বক্তব্য খারিজ করে কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, বিরোধীদের দ্বারা তারা ভুল পথে চালিত হচ্ছে না।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকে বিক্ষোভ
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকের পর কৃষকদের ক্ষোভ দিল্লিতেও আছড়ে পড়েছে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া গেটের সামনে আজ সকালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। একটি ট্র্যাক্টরে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাবের যুব কংগ্রেস কর্মীরাই এ কাজ করেছেন।