জনগণের কণ্ঠরোধ করছে মোদী সরকার, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ সনিয়া গান্ধীর
নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং এই সংক্রান্ত বিল পাশ পরবর্তী প্রতিবাদ, বিক্ষোভ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের প্রতিনিধি দল।
নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং এই সংক্রান্ত বিল পাশ পরবর্তী প্রতিবাদ, বিক্ষোভ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের প্রতিনিধি দল। সেখানে রাষ্ট্রপতির কাছে বিরোধীরা আবেদন করেন, যাতে জনবিরোধী এই আইনকে প্রত্যাহার করতে মোদী সরকারকে বলেন রাষ্ট্রপতি।
|
'জামিয়া মিলিয়া ক্যাম্পাসে তাণ্ডব'
দিল্লিতে আমাদের সামনেই একটি উদাহরণ রয়েছে। যেভাবে দিল্লি পুলিশ জামিয়া মিলিয়া ক্যাম্পাসে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে তা নিন্দনীয়। পুলিশকর্মীরা মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে ছাত্রীদের টেরে বের করেছে। তারা নৃশংস ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের মেরেছে। আমার মনে হয় মোদীর নেতৃত্বাধীন এই সরকারের ছাত্রদের প্রতি কোনও সমবেদনা নেই। তারা শুধু জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চায়।
|
আগুন ছড়াচ্ছে সারা দেশে
তিনি আরও বলেন, 'উত্তর-পূর্বের পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই আগুনের আঁচ এসে পড়েছে জাতীয় রাজধানী দিল্লীতে। আর এই সব হচ্ছে এই নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের কারণে। পরিস্থিতি খুব গম্ভীর। আমাদের আশঙ্কা এই আগুন আরও ছড়াবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। যে ভাবে পুলিশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীদের আটকাচ্ছে ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করছে তা নিন্দনীয়।'
একই সময় দিল্লির পূর্ব প্রান্ত ফের অশান্ত
এদিনই যেই মুহূর্তে বিরোধীরা রাইসিনা হিলসে ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব দিল্লির সিলামপুর এলাকায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়ে পুলিশ। তিনটি বাস ও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি পুলিশ বুথও।