করোনা লকডাউনে বন্ধ কাজ, শ্রমিকদের সাহায্য করতে মোদীকে উপায় বাতলে দিলেন সনিয়া
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে প্রায় সব রকমের ব্যবসা বাণিজ্য। বন্ধ রয়েছে ১০০ দিনের কাজ। ফলে একপ্রকার রোজগারহীনভাবে দিন কাটছে গ্রামীণ এলাকার বহু শ্রমিকের। সেই সব শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য কেন্দ্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল কংগ্রেস
করোনা রুখতে আগেই সরকারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল কংগ্রেস। এর আগে সনিয়াই মোদিকে চিঠি লিখে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর এবার সনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের আগাম ২১ দিনের বেতন দেওয়ার দাবি জানালেন।
মোদীকেই সমর্থন করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া
বিশাল বিরোধিতা সত্ত্বেও গোটা দেশকে ২১ দিনের জন্যে লকডাউন করার সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই সমর্থন করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। একটি চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এটি অত্যন্ত 'ভালো পদক্ষেপ', এই বিষয়ে 'সরকারকে সমর্থন করবে' কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশে পরিযায়ী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ৬১১ কোটি টাকা
এদিকে সোমবারই উত্তরপ্রদেশে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট প্রকল্পে নথিভুক্ত ২৭.৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ৬১১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে, যাতে লকডাউনে কারোর কোনও অসুবিধা না হয়। সোমবারই এই টাকা ট্রান্সফারের কাজ সম্পন্ন হয়।
আর্থিক সংকটের মধ্যে গরিব মানুষ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপের নেওয়ার লক্ষ্যে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্র। এই লকডাউন কার্যকর করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যগুলিও। তবে এই পরিস্থিতিতে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিনমজুররা। করোনা ভাইরাসের জেরে প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন গরিব মানুষ। একাধিক ক্ষেত্রে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় অধিকাংশ দিনমজুর এবং নির্মাণকর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এদের অনেকেই অন্য রাজ্যে আটকে পড়েছেন। কাজ না থাকায় টাকাও নেই এদের কাছে।