'তৈমুর নামটিই সন্তানের জন্য রাখতে পছন্দ করেন কেউ কেউ', পতৌদি পরিবারের নাম না করে বিজেপির কটাক্ষ
প্রসঙ্গ ছিল 'ভারত সম্পর্কে ধারণা' নিয়ে। আর সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলে বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি নিজের চেনা মেজাজে নাম না করে তোপ দাগেন পতৌদি পরিবারের প্রতি। যদিও সইফ আলি খান বা করিনা কাপুরের নাম তিনি করেননি। উল্লেখ্য, শর্মিলা ঠাকুর সহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী কিছুদিন আগেই নাগরিকত্ব আইন ইস্য়ুতে খোলা চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। তারপরই বিজেপির তরফে আসে এমন বার্তা। যদিও সইফ আল খানের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিজেপি এমন বার্তা দিয়েছে বলে মত অনেকের।
বিতর্কের সূত্রপাত সইফের বক্তব্য থেকে শুরু?
কয়েকদিন আগেই 'তানাজি' ছবির সাফল্য নিয়ে মুখ খোলেন সইফ। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি এই ঐতিহাসিক ছবি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,'আমার মনে হয়না এটা ইতিহাস। আমার মনে হয় না ভারত সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল ব্রিটিশ শাসনের আগে। ' তাঁর দাবি, ব্রিটিশরা ভারতে আসবার পরই 'ভারত' ভাবনা উঠে আসে।
|
মীনাক্ষী লেখির টুইট
একটি টুইটে পারসী সভাকবির আঁকা একটি ছবি পোস্ট করেন মীনাক্ষী লেখি। সেই ছবিতে দেখা যায় তৈমুর লঙকে। ভারতের ইতিহাসে যিনি অন্যতম অত্যাচারী শাসক হিসাবে পরিচিত। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যে মসনদে তৈমুর লঙ বসে রয়েছেন তার পিছনে একটি কঙ্কালের খুলি দ্বারা নির্মিত পিরামিড রয়েছে। সেই ছবি পোস্ট করে মীনাক্ষী লেখি লেখেন, ' এমনকি তুর্কীরাও মনে করেন তৈমুর নৃশংস ছিলেন। তবে কিছু মানুষ নিজের ছেলেন নাম তৈমুর রাখতে পছন্দ করেন। '
তৈমুর নামটি নিয়ে বার্তা সইফের
এর আগে, পতৌদি পরিবারের বংশধর করিনা-সইফের সন্তানের নামকরণ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। সেই নাম বিতর্ক নিয়ে সইফ বলেন, 'আমি জানি তুর্কীর শাসকের কথা। তিনি তিমুর ছিলেন, আর আমার সন্তান তৈমুর। তৈমুর নামটি পুরনো পারসী নাম, যার অর্থ হল লোহা।'