চারবার বিক্রি হয়ে পঞ্চম জনের হাতে পড়তেই ভয়ঙ্কর দশা হল কিশোরীর, জানলে আঁতকে উঠবেন
নাবালিকা কিশোরী। বয়স ১৫ বছর। এই বয়সেই বিয়ের নামে চারবার বিক্রি হয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলগাভীতে।
নাবালিকা কিশোরী। বয়স ১৫ বছর। তার মধ্যেই জীবনের এমন সমস্ত অভিজ্ঞতার সে সম্মুখীন হয়েছে যে একধাপে বয়স অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এই বয়সেই বিয়ের নামে চারবার বিক্রি হয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলগাভীতে।
[আরও পড়ুন:কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন, 'মজার জন্য করেছি', বলছে অভিযুক্তরা, এই লজ্জা কোথাকার জানেন ]
তবে শেষরক্ষা তাতেও হয়নি। অবশেষে পঞ্চম ব্যক্তির হাতে নির্যাতিত হয়ে তিন মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়েছে কিশোরী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে। আর এই ঘটনায় মূল অভিযোগের তির কিশোরীর বাবা ও সৎ মায়ের দিকে।
মেয়েটি রায়বাগের নিপানল গ্রামের বাসিন্দা। তাকে বেলগাভীতে একটি মহিলা ও শিশু সুরক্ষা সংস্থার আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে শিশুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনমূলক পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে।
এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কিশোরীর বাবা তিনমাস আগে মারা যায়। মেয়েটি জানিয়েছে, ১২ বছর বয়সে তার প্রথম বিয়ে হয়। শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে বারবার ঘরে ফিরে এলে বাড়িতেও সৎ মার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। বয়স্ক লোকেদের সঙ্গে ধরে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই মোট চারবার বিক্রির পরে ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে মেয়েটি।
বেলাগাভী পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলা বেশ গম্ভীর। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তা বিচার করা হচ্ছে।