সূর্যগ্রহণ ২০১৯, ২৬ ডিসেম্বর : দশের শেষ বলয়গ্রাস নিয়ে কয়েকটি বিশেষ তথ্য জানুন একনজরে
আর কয়েকদিন বাদেই একুশ'শ শতকের তৃতীয় দশক শুরু হবে। ২০১৯ সালের ইতির সঙ্গে সঙ্গেই এক নতুন দশকে পা রাখতে চলেছে গোটা বিশ্ব। আর তার আগে, এদিন সকাল ৮:২৭ মিনিটে কলকাতায় শুরু হচ্ছে আংশিক সূর্যগ্রহণ। গোটা বিশ্বের বহু অংশ থেকেই দশকের এই শেষ বলয়গ্রাস দেখা যাবে। 'রিং অফ ফায়ার' নাম নিয়ে আসা এই সূর্যগ্রহণ ঘিরে কিছু তথ্য় দেখে নেওয়া যাক।
শুরু আর শেষের সময়
এদিন ভারতীয় সময় সকাল ৮ র আশপাশ সময় থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা যেতে শুরু করেছে সূর্যগ্রহণ। কলকাতায় সকাল ৮:২৭ মিনিটে দেখা যাবে দশকের শেষ সূর্যগ্রহণ। মোট ৩ ঘণ্টা স্থায়ী হচ্ছে এই গ্রহণ। গ্রহণ তুঙ্গে থাকবে ৯:৫৩ মিনিটে। এরপর গ্রহণের ছাড়ার সময় বেলা ১১ টার কিছু পরে।
সবচেয়ে ভালো গ্রহণ কোন কোন জায়গা থেকে দেখা যাবে?
সবচেয়ে ভালোভাবে গ্রহণের দৃশ্য দেখা যাবে দক্ষিণ ভারত থেকে। দক্ষিণের শহর কন্নুর, কোচি, ত্রিচি, তিরুঅনন্তপুরম, উটি, চেন্নাই, কোয়েম্বাটুর, ম্যাঙ্গালুরু, বেঙ্গালুরু থেকে খুব ভালোভাবে দেখা যাবে। এছাড়াও পুদুচেরি থেকে দেখা যাবে এই গ্রহণের বিরল দৃশ্য।
বছরে কতবার হতে পারে সূর্যগ্রহণ?
একটি
বছরে
দুই
থেকে
৫
টি
সূর্যগ্রহণ
সংগঠিত
হতে
পারে।
তবে
একটিই
বছরে
৫
টি
পর
পর
সূর্যগ্রহণ
অত্যন্ত
বিরল।
এমনই
জানাচ্ছে
মার্কিন
মহাকাশ
বিজ্ঞান
গবেষণা
কেন্দ্র
নাসা।
শএষবার
১৯৩৫
সালে
একই
বছরে
পর
পর
৫
টি
সূর্যগ্রহণ
হয়েছিল।
এরপর
২২০৬
সালে
একই
বছরে
৫
টি
সূর্যগ্রহণ
হবে
বলে
দাবি
'টাইম
অ্যান্ড
ডেট
ডট
কম'
এর।
কখন হয় গ্রহণ?
প্রসঙ্গত, চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোন দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অন্যদিকে, যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ অবস্থান নেয়, তখন পৃথিবীপৃষ্ঠের পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে সূর্য চাঁদের পেছনে আড়ালে চলে যায় এবং সূর্যের গ্রহণ ঘটে। আবার পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে তখন পৃথিবীর আড়ালে চাঁদ ঢাকা পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়।
গ্রহণ ঘিরে পৌরাণিক কাহিনি
সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে বহুকাল থেকেই অনেক পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রহণ ঘিরে রয়েছে একাধিক ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত 'বিশ্বাস'। আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরানিক কাহিনি। দেখে নেওয়া যাক, সেই সব কাহিনিকে। কোরিয়ানরা মনে করেন যে সূর্যকে চুরি করে নিয়েছে কোনও রাক্ষুসে কুকুর। কোরিয়ান লোক সঙ্গীতে এই নিয়ে বহু সুরও বাঁধা হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার বেনিন ও টোগে উপজাতির মানুষরা বিশ্বাস করেন যে 'গ্রহণ' মানে সূর্য ও চন্দ্রের মধ্যে ক্রমাগত যুদ্ধ। তাঁদের আরও ধারণা যে একমাত্র পৃথিবীই এই যুদ্ধ মেটাতে সক্ষম। প্রাচীন গ্রিসের পৌরনিক কাহিনিতে মনে করা হত সূর্যগ্রহণের ঘটনা মানেই কোনও না কোনও দেবদেবী রুষ্ট হয়েছেন। যার ফলে কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা করা হত। মূলত এই মহাজগতিক ঘটনাকে নেতিবাচক চোখে দেখা হত এখানে।