'লিভ রেকর্ডস' নষ্ট করে সোহরাবউদ্দিন এনকাউন্টার মামলা অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ
সোহরাবউদ্দিন শেখ মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গোটা তদন্তই ধারণার ওপরে ভিত্তি করে চলছিল।
সোহরাবউদ্দিন শেখ মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গোটা তদন্তই ধারণার ওপরে ভিত্তি করে চলছিল। আবদুল রেহমান নামে এই পুলিশ অফিসার সোহরাবউদ্দিনের ওপরে গুলি চালান। পরে এফআইআরও দায়ের করেন। এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই। তবে রেহমান গোটা ঘটনাকেই মিথ্যা বলে আদালতে জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে আদালতে রেহমান হলফনামায় জানিয়েছেন, তিনি কোনও এফআইআর দায়ের করেননি। অনেকে চাপ দিয়ে বলানোর চেষ্টা করিয়েছেন যে এমনটা করা হয়েছিল। এদিকে রাজকুমার পান্ডিয়ান যিনি ওই আইপিএস আধিকারিকের সঙ্গী ছিলেন, তিনি দাবি করেছেন, সিনিয়রের অনুমতি ছাড়া যেখানে নড়া যায় না, সেখানে অভিযুক্তের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে।
আশিস পান্ডিয়া যিনি তুলসীরাম প্রজাপতির এনকাউন্টারে অভিযুক্ত, তিনি বলেছেন, আত্মরক্ষার খাতিরে তাকে গুলি চালাতে হয়েছে। প্রজাপতি নাকি তাকে একবার নয়, দুবার আক্রমণ করে। বাম হাতে গুলি লাগে বলেও তিনি দেখিয়েছেন।
ঘটনা হল, প্রজাপতির দেহে তিনটি গুলির চিহ্ন ছিল। তবে তা পান্ডিয়া চালিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। এমনটাই আদালতে জানানো হয়েছে। এমনকী পান্ডিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল ইচ্ছে করে নিজেকে গুলি করেছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়।
সিবিআই যদিও এই নিয়ে তর্ক করেছে যে প্রাক্তন গুজরাত এটিএস প্রধান ডিজি ভানজারা আইপিএস বিপুল আগরওয়ালকে দিয়ে পান্ডিয়া সমন পাঠিয়ে এনে প্রজাপতি এনকাউন্টার করেন। ছুটির রেকর্ড নাকি নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। যদিও পান্ডিয়া জানিয়েছেন, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, সোহবারউদ্দিন ২০০৫ সালে রাজস্থান ও গুজরাত পুলিশের যৌথ বাহিনীর অভিযানে খুন হয়। আর তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তুলসীরাম প্রজাপতি ২০০৬ সালে খুন হয়। সিবিআই দুটি এনকাউন্টারকেই ভুয়ো বলে আদালতে জানিয়েছে।
২০০৬ সালে তুলসীরাম গুজরাত পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়। রাজস্থান পুলিশের দাবি, আহমেদাবাদ থেকে উদয়পুরের জেলে ফেরত আনার সময় হেফাজত থেকে তুলসীরাম পালিয়ে গিয়েছিল। তারপরই এনকাউন্টার হয়। সেই ঘটনাও ভুয়ো ছিল বলে জানা গিয়েছে।