রাজ্য বিভাজনের পর এবার ইতিহাস বইয়েও পরিবর্তন, নির্দেশ মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের
এবার বদল আসতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাস বইয়ে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের করফে এনসিইআরটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই পরিবর্তন আনার ব্যাপারে।
এবার বদল আসতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাস বইয়ে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের করফে এনসিইআরটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই পরিবর্তন আনার ব্যাপারে। রাজ্য থেকে ৩৭০ ধারার বাতিলের পর পাহাড়ি এই রাজ্যকে বিভাজিত করা হয়েছে। বর্তমানে লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর।
জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠ্যবইয়ে যে পরিবর্তন করা হবে, তা করবেন ন্যাশনাল এডুকেশন কাউন্সিল। সঙ্গে থাকবে জম্মু ও কাশ্মীরের বোর্ড অফ এডুকেশন। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া আলাদা কোনও পাঠ্যক্রম সেখানে নেই।
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্যের বিভাজন হয়েছে। ফলে সোশ্যাল সায়েন্সে পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে। এনসিইআরটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ শুরু করে দিয়েছেন। তবে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
১৯৪৭-এর ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন হরি সিং চেয়েছিলেন, ভারত কিংবা পাকিস্তান কারও সঙ্গে না থেকে নিজের স্বাধীনভাবে থাকতে। কিন্তু যখন হানাদাররা জম্মু ও কাশ্মীরে অভিযান শুরু করে সেই সময় হরি সিং ভারতের সাহায্য চান।
সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় লাদাখেও আলাদ করে এডুকেশন বোর্ড গঠন করা হবে। তবে বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত তা আগেকার জম্মু ও কাশ্মীর স্কুল বোর্ডের অধীনেই কাজ করবে।
জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠ্যবইকে পরিবর্তনের নির্দেশ এমন একটা সময়ে এল, যখন কেন্দ্র এনসিইআরটিকে নির্দেশ দিয়েছে, সারা দেশেই স্কুল পাঠ্য নতুন করে তৈরি করতে।