সামাজিক এই পরিবর্তন নতুন চ্যালেঞ্জ! দেশে যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনার কারণ জানিয়ে বিস্ফোরক বায়ুসেনা প্রধান
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত বিমান বাহিনীর পাইলট। যার জেরেই ২০১৩-তে ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এমনই বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত বিমান বাহিনীর পাইলট। যার জেরেই ২০১৩-তে ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এমনই বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া। কোনও দিন কাজ শুরুর আগে পাইলটদের পর্যাপ্ত ঘুম হয়েছে কিনা, তা নির্ণয়ের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এয়ার চিফ মার্শাল বলেছেন, রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘক্ষণ সময় কাটানোয় পাইলটদের মধ্যে কম ঘুমের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ অ্যারোস্পেশ মেডিসিনের ৫৭ তম কনফারেন্সে বায়ুসেনার প্রধান বলেন, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা চলে গেলে বিমানে প্রস্তুতির কাজে অসুবিধা হয়। তাই সকাল সকাল কাজ শুরু করা হয়।
বায়ুসেনা প্রধান বলেন, তাঁর মনে হয়েছে সব পাইলটই শেষ রাত পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর তাদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় সকাল ছটা থেকে। ফলে পাইলটরা ঘুমের সময় পান না। জানিয়েছেন বায়ু সেনা প্রধান।
বায়ুসেনা প্রধান বলেন, ২০১৩ সালে রাজস্থানের বারমেরের উত্তারলাইয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, দিনের পর দিন পাইলটের কম ঘুমের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে। সামাজিক পরিবর্তনের জেরে তারা নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান।
সমস্যার উল্লেখ করে বায়ুসেনা প্রধান ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোস্পেশ মেডিসিনকে নতুন পদ্ধতি গড়ে তোলার কথা বলেন। যাতে পর্যাপ্ত ঘুমের পরেই পাইলটরা তাদের দিনের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন।
বায়ুসেনা প্রধান বলেন, যদি কোনও পাইলট বেশি মদ্যপান করেন, তার পরীক্ষার জন্য ব্রেথ অ্যানালিসির রয়েছে। তাই পাইলটদের পর্যাপ্ত ঘুমের পরীক্ষার জন্যও নতুন ব্যবস্তা গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।