সামাজিক দুরত্ব ও লকডাউনই কোভিড–১৯–এর প্রতিষেধক, মন্তব্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
সামাজিক দুরত্ব ও লকডাউনই কোভিড–১৯–এর প্রতিষেধক, মন্তব্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
সামাজিক দুরত্ব ও লকডাউনই বর্তমানে কোভিড–১৯–এর সামাজিক প্রতিষেধক। এছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোনও প্রতিষেধক, ওষুধ বা থেরাপি বের হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি এর সঙ্গে এও জানান যে আইসোলেশন সঠিক পদ্ধতিতে ও সরকারের নির্দেশ মেনে চলাই এখন দেশবাসীর একমাত্র ওষুধ।
১৩৩টি জেলা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত
বৃহস্পতিবার বেনেট বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন আলোচনা চক্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, নভেল করোনা ভাইরাসের এই সংক্রমণে রাশ টানতে সারা দেশের ১৩৩টি জেলাকে ‘হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যানের তুলনায় ভারত অনেকটাই ভালো জায়গায় রয়েছে।' তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে যেখানে প্রত্যেক সাড়ে চারদিন অন্তর অন্তর কেস দ্বিগুণ হয়ে চলেছে এবং জেলাগুলি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতি অন্যায়ের নিন্দা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
বর্ধন জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলি যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের কৌশল গ্রহণ করে এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে রোধ করার চেষ্টা করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী এও জানান যে করোনা আক্রান্তের সেবায় যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করছেন সেইসব স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি যাঁরা দুর্ব্যবহার করছেন তাদের তীব্র নিন্দা করেন।
দেশে সবই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে
বর্তমানে দু'লক্ষেরও বেশি আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ বেড, পিপিই, মাস্ক, সবই রয়েছে দেশে। আরও ৪৮ হাজার ভেন্টিলেটরের অর্ডারও দেওয়া হয়েছে। করোনার চিকিৎসা-গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে ‘সলিডারিটি' প্রকল্প, সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও এ দেশ অন্যতম অংশীদার বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
দ্বিগুণ বেতন, করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসক-নার্সদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী