সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের কোণায় কোণায়! একনজরে দেখুন বিভিন্ন প্রান্তের লকডাউন চিত্র
দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ নামক এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত কমপক্ষে ২৫০০ জন। কয়েকজন বিদেশী সহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৬ জন। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ২৪ মার্চ থেকে ২১ দিনের লকডাউনের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি চলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। একনজরে দেখে নিন দেশের কোথায় কী পরিস্থিতি ...
সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউকে বুড়ো আঙুল
সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লিতে এক মসজিদে গাদাগাদি করে ছিলেন ২০০০-র বেশি জন। ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে এই ভাইরাসের কবলে ৩২৬ জন। সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ৫৬। তারমধ্যে বেশীরভাগ হয়েছে গতমাসে দিল্লিতে জমায়েতে অংশগ্রহণকারীদের থেকে। এই পরিস্থিতিতে দেশে করোনা মোকাবিলায় সব রকম সাহায্য পেতে মরিয়া মোদী প্রশাসন।
দিল্লিতে নিজামুদ্দিনের প্রভাব
প্রসঙ্গত, গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির ওই মসজিদে অন্তত ২ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। দিল্লিতে ওই মসজিদে শুধু ভারত নয়, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও বিভিন্ন মানুষজন এসে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখান থেকেই ব্যাপক হারে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। দিল্লিতে এখনও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। মৃত ৪ জন।
গুজরাতে মারা গিয়েছে ৭ জন
এদিকে দেশে করোনার এই প্রবণতা অব্যহত থাকলে আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে এই মারণ ভাইরাসে দেশের ১০,০০০ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগী উপচে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুজরাতে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠেছে। সেরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন। এরই মধ্যে সেখানে মারা গিয়েছেন ৭ জন।
করোনা নিয়ে তটস্থ রাজ্য
এদিকে রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে দিল্লির নিজামুদ্দিনে যাওয়া ২১৮ জনকে শনাক্ত করে নিউটাউনে রাখা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যে মোট ৫৩ জন করোনা আক্রান্ত রয়েছে। সরকারি ভাবে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন।
পাঞ্জাবে সিল বেশ কয়েকটি গ্রাম
পাঞ্জাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। তবে সেখানে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এদিকে করোনা আখক্রান্ত হয়ে সে রাজ্যে মারা গিয়েছেন ৪ জন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকটি গ্রাম পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে সে রাজ্যে।