দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসপেন্ড হওয়া কর্মীদের পুনর্বহালের আবেদন জানালেন স্মৃতি ইরানি
টুইট করে স্মৃতি ইরানি জানান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের আওতায় পড়ে না। কিন্তু তবুও আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আবেদন জানাতে চাই যাতে ওই কর্মীদের কাজে পুনর্বহাল করা হয়।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মলয় নীরভ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন 'স্কুল অফ ওপেন লার্নিং'-এর পাঁচ জন অশিক্ষক কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপন তথ্য নিয়ে নাড়াঘাটা করেছেন এবং তা ফাঁস করেছেন। এই পাঁচজনের কেউই আধিকারিক পদের নয় বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন। এর পরই শুরু হয়ে যায় স্মৃতির শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি। কংগ্রেস প্রশ্ন তোলে নির্বাচন কমিশনে স্মৃতি ইরানির দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, স্মৃতির সর্বশেষ শিক্ষা হিসাবে দেওয়া রয়েছে বি.কম পার্ট ওয়ান, স্কুল অফ ওপেন লার্নিং, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৪। এদিকে রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে স্মৃতি ইরানির বায়োডাটায় লেখা রয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'করসপন্ডেন্ট অ্যান্ড কন্টিনিউইং এডুকেশন' এবং দিল্লির হলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
তার উপর আবার ২০০৪ সালে স্মৃতির লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায় ১৯৯৬ সালে বিএ পাস শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে দেওয়া হয়েছে। যা স্মৃতির দেওয়া এবারের হলফনামা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই তথ্য ধরেই স্মৃতির সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস।
এসবের পর একটি জনপ্রিয় হিন্দি দৈনিক কাগজে স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য ছাপা হয় হয়। কাগজে লেখা হয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে 'স্কুল অফ ওপেন লার্নিং'-গত বছর ভর্তি হন স্মৃতি। কিন্তু পরীক্ষায় বসেননি তিনি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ওই পাঁচ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।