
গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সরবের জন্যই মেয়েকে নিশানা, ‘অবৈধ বার’ কাণ্ডে আবেগতাড়িত স্মৃতি ইরানি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে আনা গোয়ার বেআইনি মদের দোকান চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন। কান্নাভেজা চোখে তিনি বলেন, জনতার আদলতে যাবেন। এই ঘটনার বিচার তিনি চাইবেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ে জোইশ ইরানির মাত্র ১৮ বছর বয়স। তিনি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী। তিনি কোনও মদের বারের মালিক বা ম্যানেজার নন। স্মৃতি ইরানি বলেন, 'আমার মেয়ের দোষ হল তাঁর মা একজন রাজনৈতিক নেত্রী। আমি গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সাংবাদিক সম্মেলনে করেছিলাম। তাই এই ধরনের হেনস্থা করা হচ্ছে। আমি রাজনৈতিক নেত্রী হতে পারি। আমারে মেয়ে খুব সাধরন জীবনযাপন করেন। তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।' তিনি অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁর মেয়ের চরিত্রে দাগ লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাল্টা তিনি দাবি করেন, যে নথি সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস প্রকাশ করেছিল, সেখানে কোথাও তাঁর মেয়ের নাম নেই।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মেয়ে জোইশ ইরানির আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল ১৮ বছরের এক ছাত্রী। ভবিষ্যতে তিনি সেফ হতে চান। সেই কারণেই তিনি রন্ধনশিল্প নিয়ে পড়াশোনা করছেন। রাজনৈতিক নেত্রীর মেয়ে হওয়ার কারণে তাঁর মক্কেলের মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে। একটা মিথ্যা ঘটনাকে সামনে রেখে স্মৃতি ইরানির রাজনৈতিক বিরোধীরা তাঁর মেয়েক বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। আইনজীবী জানিয়েছেন, জোইশ ইরানির রান্না নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সিলি সোলস গোয়া নামক রেস্তোরাঁটির মালিক বা ম্যানেজার কিছুই নন। সেখানকার সেফের সকাছে জোইশ শুধুমাত্র ইন্টারশিপ করেছিলেন। বর্তমানে জোইশ ইরানি উচ্চশিক্ষার জন্য চেষ্টা করছেন।
শনিবার কংগ্রেসের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে সিলি সোলস গোয়া নামের বারে আইনি নোটিশ পাঠানোর একটি প্রতিলিপি প্রকাশ করেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খোরা জানিয়েছেন, স্মৃতি ইরানির পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। স্মৃতি ইরানির মেয়ে গোয়ায় জাল লাইসেন্স নিয়ে একটি অবৈধ বার চালান। পাশাপাশি তিনি জানান, স্মৃতি ইরানির মেয়ের বার ও রেস্তোরাঁটি লাইসেন্স যার নামে রয়েছে, তিনি ২০২১ সালের মে মাসা মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে, জোইশের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেল এখনও কোনও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও আইনি নোটিশ পাননি। এরপরেই কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্মৃতি ইরানিকে বরখাস্ত করা উচিত।