ধূমপায়ীরাই সর্বাধিক করোনা ভাইরাসের আক্রমণের শিকার
কিছুদিন আগেই ফুসফুসের রোগ বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে ধূমপান এবং করোনাভাইরাস জনিত রোগের মধ্যে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে। এবার একের পর এক গবেষণায় এই তথ্যই প্রাধান্য পেতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে ধূমপান
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত প্রথম যে দুজন রোগী মারা গিয়েছিলেন তারা আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ ছিলেন। তবে তাদের দীর্ঘদিন ধরে ধূমপানের অভ্যাস থাকায় ফুসফুসের কার্যক্রম অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। একই সাথে গবেষকেরা জানাচ্ছেন ধূমপায়ীদের মধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সর্বাধিক। এটি বিশেষত চিনের ক্ষেত্রে অত্যধিক সত্য।
প্রাণ হারিয়েছেন ২০০০-র বেশি মানুষ
ইতিমধ্যেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চিন এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ২০০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত অগুনতি। পৃথিবী ব্যাপী করোনা ভাইরাস আজ এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। সর্বত্র জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চিনে হুবেই প্রদেশের উহান শহরে সামুদ্রিক বাজারে প্রথম করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে।
হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক এই ভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস। এটি সার্স ভাইরাসের সমগোত্রীয় করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সার্স ও ই-বোলার চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক। করোনা ভাইরাস একটি মারাত্মক মরণ-ব্যাধি ভাইরাস এবং এটি খুবই ছোঁয়াচে। এক মানব দেহ থেকে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে অন্য মানব দেহে প্রবেশ করে।