মধ্যপ্রদেশের ভোটে টানটান লড়াইয়ে চাপে বিজেপি-কংগ্রেস! ফারাক গড়বে ছোট দলগুলিই
মধ্যপ্রদেশে ছোট দলগুলি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারে সমানে-সমানে লড়াই চলছে। কংগ্রেস ও বিজেপি দুটি দলই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার মতো জায়গায় রয়েছে। ফলে রাজ্যের ছোট দলগুলি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ ক্ষমতা কোনদিকে যাবে তা ছোট দলগুলি নির্ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বড় সমস্যা ছোট দলগুলি
দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ছোট দলগুলি কোথাও বিজেপিকে বেগ দিচ্ছে তো কোথায়ও কংগ্রেসকে বিপদে ফেলে দিচ্ছে। মালওয়া-নিমার অঞ্চলে জয় আদিবাসী যুব শক্তি শেষে কংগ্রেসের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে তপশিলি নেতা কান্তিলাল ভূরিয়ার ওপরে দায়িত্ব পড়েছে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার।
জয় আদিবাসী যুব শক্তির দাপট
মালওয়া-নিমার অঞ্চলে বিজেপির দাপট ছিল। তবে দলের বিরুদ্ধে অনেক ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে। ফলে বিজেপিকে ছেড়ে অনেকে জয় আদিবাসী যুব শক্তির সঙ্গ নিয়েছে। এখান থেকে এই দলটি অবশ্যই লড়াই করছে।
রাজ্য জুড়ে লড়াই
শুধু ওই অঞ্চল কেন রাজ্যের ৮০টি কেন্দ্র থেকে জয় আদিবাসী যুব শক্তি লড়াই করছে। ৩৩জন অ-আদিবাসী নেতাদেরও টিকিট দেওয়া হয়েছে। যে অঞ্চলগুলিতে তপশিলি জনসংখ্যা বেশি সেখানে টার্গেট করা হয়েছে।
রয়েছে গোন্ডওয়ানা গণতন্ত্র পার্টিও
এর পাশাপাশি গোন্ডওয়ানা গণতন্ত্র পার্টি ৯০টি আসনে লড়বে বলে ঘোষণা করেছে। এতে বিজেপি আশঙ্কা অনেক বেশি। এই দলটি বিজেপিকে আটকাতে অন্য দলের সঙ্গে হাত ধরতেও রাজি।
সপক্ষ পার্টির চাপ
এখানেই শেষ নয়, মধ্যপ্রদেশে ভোটে লড়ছে সপক্ষ পার্টিও। পুরো নাম সামান্য পিছড়া অল্পসংখ্যক বর্গ অধিকারী কর্মচারী সংস্থা। সরকারের সংরক্ষণের প্রতিবাদে এই সংস্থা তৈরি হয়। তাকে নির্বাচন কমিশন ভোটে লড়ার অনুমতি দিয়েছে। এবং এদের ব্রাহ্মণ, রাজপুত ও অন্য অসংরক্ষিত শ্রেণির ভোটারদের ওপরে দারুণ প্রভাব রয়েছে। যা বিজেপিকে চাপে ফেলবে।
রয়েছে বসপা-ও
এর পাশাপাশি রয়েছে বহুজন সমাজ পার্টি। যারা কংগ্রেসের হাত না ধরে একলা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলিত ভোটারদের সকলকে একত্রিত করে রাখতে পারলে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই দলই চাপে পড়ে যাবে। ত্রিমুখী লড়াই হলে কেমন ফল হয় এখন সেটাই দেখার।