বকেয়া ছয় দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি কিষাণ মোর্চার! কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
১৯ নভেম্বর সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন কৃষকরা (Farners) এবার ক্ষেতে ফিরে যান। সেই সময়ই সংযুক
১৯ নভেম্বর সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন কৃষকরা (Farners) এবার ক্ষেতে ফিরে যান। সেই সময়ই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে জানানো হয়েছিল তাঁরা এব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এদিন কিষাণ মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে খোলা চিঠি (letter) দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের বকেয়া ছয় দাবি পূরণ করা হলেই তারা ধর্না থেকে সরবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আলোচনার দাবি
এদিন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়ে আলোচনার দাবি করা হয়েছে। তারা বলেছেন, রাস্তায় বসা তারা পছন্দর করেন না। তারা চন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য সমস্যার সমাধান করে পরিবার এবং কৃষিকাজে ফিরতে চান। প্রধানমন্ত্রীও যদি সেটাই চান, তাহলে অবিলম্বের কিষাণ মোর্চার সঙ্গে আলোচনা শুরু করা উচিত বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে।
মোর্চার
তরফে
ইঙ্গিত
করা
হয়েছে
আগামী
২৯
নভেম্বর,
সংসদের
শীতকালীন
অধিবেশন
শুরুর
দিন
পর্যন্ত
তারা
তাদের
আগেকার
কর্মসূচিতে
অটল
থাকবেন।
এদিন
প্রধানমন্ত্রীকে
দেওয়া
চিঠিতে
যে
ছয়
বকেয়া
দাবির
কথা
তোলা
হয়েছে,
তার
মধ্যে
রয়েছে
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে বলা হয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নির্ধানরণ করতে হবে উৎপাদন খরচের ওপরে ভিত্তি করে। এব্যাপারে সব কৃষককে সব ফসলের ব্যাপারে আইনি অধিকার দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। যা করলে সরকার ঘোষণিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেই কৃষকরা ফসল বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করছে সংযুক্ত বিষাণ মোর্চা।
বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবি
২০২০/২১-এর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের খসড়া আনা হয়েছিল, তা প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারের তরফে এই বিল তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সংসদের আলোচ্য সূচিতে তা থাকলেও তা এখনও বকেয়া পড়ে রয়েছে।
বায়ূদূষণে শাস্তির বিধান প্রত্যাহারের দাবি
প্রতিবছরেই শীতের শুরুতে দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। জমিতে পড়ে থাকা ফসলের অংশ বিশেষ পোড়ানো এই ঘটনায় অনেকাংশে দায়ী বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ইন ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন অ্যান্ড অ্যাডজয়েনিং এরিয়াস অ্যাক্টে কৃষকদের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সেই শাস্তির বিধান প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে। তাদের তরফে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে আইনের ১৫ নম্বর ধারা কৃষকদের শাস্তির ব্যাপারে বলেছে, তাই সেই ধারা প্রত্যাহার করতে হবে।
কৃষকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন কৃষকরা। অভিযোগ হাজার হাজার কৃষককে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সেই সব মামলা প্রত্যাহার করার দাবি তোলা হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে বরখাস্তের দাবি
লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্তের দাবির কথাও প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৃত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দাবি
গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকে অন্তত ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত কৃষকদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের দাবি তোলার পাশাপাশি সিঙ্ঘুতে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য জমিরও দাবি করা হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে।
তবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পরবর্তী সভা রয়েছে ২৭ নভেম্বর, সেখানে আন্দোলনের ভবিষ্যত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
বিজেপিতে ভারতী ঘোষের প্রমোশন, সঙ্গে আরও চার নেতার পদপ্রাপ্তি! ৫ রাজ্যের ভোটের আগে জল্পনা