সীমান্তে মোতায়েন ৬০ হাজার চিনা ফৌজ! জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় সেনাবাহিনীও
চিন সীমান্তে হাড়কাঁপানো শীতেও তীব্র উত্তাপ। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। তাই চিনকে উপযুক্ত জবাব দিতে ভারতও সমসংখ্যক সৈন্যকে প্রস্তুত রাখছে।
চিন সীমান্তে হাড়কাঁপানো শীতেও তীব্র উত্তাপ। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। তাই চিনকে উপযুক্ত জবাব দিতে ভারতও সমসংখ্যক সৈন্যকে প্রস্তুত রাখছে। চিন কোনও বেগরবাই করলেই ভারত উপযুক্ত জবাব দেবে। চিন বারবারই লাদাখ সীমান্ত উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, তাই দুর্যোগ উপেক্ষা করেও অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছে ভারতীয় সেনা।
সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে ১৪ কর্পসকে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিফর্ম ফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে যেকোন হুমকির মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। চিনের মোকাবিলায় ভারতও সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে। ভারতীয় সেনারা যাতে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাসগুলিও খোলা রেখেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক বছরের শেষে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সম্প্রতি জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার একাধিক এলাকায় শক্তি প্রয়োগ করে স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। চিনাদের একতরফা এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড়ে চলেছে। সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা জারি রেখেও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
অবিচ্ছিন্ন যৌথ প্রচেষ্টার পরে অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে ভারত ও চিনের সীমান্তরেখা। যে সমস্ত এলাকায় এখনও বিচ্ছিন্ন হওয়া বাকি আছে, সেখানে বাহিনী বাড়িয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন চলছে। সীমান্ত মূল্যায়ন এবং অভ্যন্তরীণ আলোচনার ফলে আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করার কাজ চলছে। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ বাহিনীর মোকাবেলায় ভারতীয় সেনার আদেশ অনুসারে বাহিনী পুনর্গঠন এবং পুনর্গঠন চলছে।
উত্তর সীমান্তে পরিকাঠামোর উন্নীতকরণ, সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাপকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তা, সমস্ত পরিস্থিতিতে সংযোগের জন্য টানেল, চারটি কৌশলগত রেললাইন, ব্রহ্মপুত্রজুড়ে অতিরিক্ত সেতু, গুরুত্বপূর্ণ ভারত-চীন সীমান্তে সেতুগুলির আপগ্রেডেশন, ইত্যাদি। জ্বালানি এবং গোলাবারুদের সরবরাহের জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে।
এর আগে একাধিকবার চিন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা তৈরি হয়েছে। লাদাখে দু-পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের উপর হামলা যেমন হয়েছে, পাল্টা দিয়েছে ভারতও। অতর্কিতে হানায় একাধিক ভারতীয় সৈন্যের জীবনহানিও ঘটে। তারপর অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও উত্তেজনা বজায় রেখেছে চিন। চিন অরুণাচলের বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী এলাকাকে নাম পরিবর্তন করে নিজেদের সীমান্তবর্তী বলে উল্লেখ করেছে। তাতেও তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। ফলে সীমান্ত এলাকায় একটা না একটা কারমে ঘোঁট পাকিয়েই চলেছে চিন।