দেশের এই ছ'টি প্রতিষ্ঠানকে 'এমিনেন্স'-এর তকমা, হবে 'লক্ষ্যপূরণ', দাবি জাভড়েকরের
বিশ্ব-ক্রমতালিকায় ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নতি ঘটাতে সোমবার মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে 'ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স' তকমা দিল।
দেশের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আন্তর্জাতিক স্তরে কল্কে পায় না। তাই দেশের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান দেশের মোট ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে 'ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স'-এর তকমা দিয়ে তাদের মানোন্ময়নের চেষ্টা করা হবে।
জানা গিয়েছে এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩ টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাকি ৩টি বেসরকারি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে আইআইটি বম্বে, আইআইটি দিল্লি ও আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর। নির্বাচিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি হল, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জিও ইনস্টিটিউট, বিআইটিএস পিলানি ও মনিপাল অ্যাকাডেমি অব হায়ার এডুকেশন।
এক টুইটে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, 'দেশের জন্য ইন্সিটিউট অব এমিনেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে ৮০০ টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু তাদের একটিও বিশ্ব ক্রমতালিকার ১০০-র মধ্যে এমনকী ২০০-র মধ্যেও নেই। আজকের সিদ্ধান্ত সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে।'
জাভড়েকরের মতে, বিশ্ব ক্রমতালিকায় উপরে উঠতে গেলে দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা ও ইনস্টিটিউটগুলির স্বাদীনতা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রয়োজন উপযুক্ত তহবিলের। তিনি দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার চায় প্রতিষ্ঠানগুলিতে হস্তক্ষেপ না করতে। তারা স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠুক এটাই এই সরকারের নীতি।
Yet another landmark quality initiative of @narendramodi Government. The #InstituteofEminence are selected by the Experts Panel & today we are releasing list of 6 universities - 3 each in public and private sector. #TransformingEducation #48MonthsOfTransformingIndia @PIB_India
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) July 9, 2018
প্রথমে এই ৬টি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে দেশের ১০টি সরকারি ও ১০ টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে 'ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্স' তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ২০ টি প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যান্য প্রতিষঅঠানের থেকে আলাদা ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে বলে জানিয়েছএন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। এভাবেই তাঁরা আশা করছেন কয়েকদিনের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে জায়গা করে নেবে এই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি।