রাজধানীর বুকে শিউড়ে ওঠার মতোই ঘটনা, এক ঘরে ১১ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ৬ প্রশ্ন
দিল্লির বুরারির ঘটনা শিউরে ওঠার মতোই। এই রহস্যমৃত্যু কি খুন, না আত্মহত্যা? সেই প্রশ্নই উঠে পড়েছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন, এই মৃত্যু যে কারণেই হোক, তার মোটিভ কী?
রাজধানীর বুকে মর্মান্তিক দৃশ্য। একটি ঘরের মধ্যে সারবন্দি ১১টি দেহ একই পরিবারের। কারও দেহ ঝুলছে, কারও দেহ চোখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ঘরের মেঝেতে। দিল্লির বুরারির এই ঘটনা শিউরে ওঠার মতোই। এই রহস্যমৃত্যু কি খুন, না আত্মহত্যা? সেই প্রশ্নই উঠে পড়েছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন, এই মৃত্যু যে কারণেই হোক, তার মোটিভ কী?
৭ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষের দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন গুলিরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ১১টি দেহ, একসঙ্গে একঘরে। ১০টি দেহ ঝুলছে সিলিং থেকে। এক ৭৫ বছরের বৃদ্ধার দেহ চোখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেঝেতে।
চোখ-মুখ বাঁধা, কারও হাত-পাও বাঁধা, তা দেখেই সন্দেহ এটি খুন হতে পারে। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হতে পারে দেহগুলি। আবার একসঙ্গে আত্মহত্যাও করতে পারে তাঁরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃতদের মধ্যে দুই ভাই ভূপিন্দর ও ললিত সিংয়ের মুদি দোকান ও প্লাইউডের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ছ-টার সময় দোকান খোলেন তাঁরাষ এদিন বেলা হয়ে যাওয়াতেই সন্দেহ হয়। তারপর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির প্রধান ফটক খোলা। ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ। জানালা দিয়ে দেখা যায় বাড়ির সদস্যরা একই ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার রাজেশ খুরানা ঘটনাস্থলে যান। খুন ও আত্মহত্যা দুই দিক থেকেই তদন্ত চালানো হচ্ছে।
রাজধানীর বুকে এই শিউরে দেওয়ার ঘটনার তদন্তে যে প্রশ্ন সামনে এসেছে তা হল-
১)
এই
ঘটনা
যদি
খুন
হয়,
তবে
এই
গণহত্যার
মোটিভ
কী?
২)
বাড়ির
প্রধান
ফটকটি
খোলা
ছিল।
কিন্তু
লুঠ
বা
ডাকাতির
কোনও
চিহ্ন
নেই।
তাই
লুঠ
বা
ডাকাতি
যদি
না
হবে,
তবে
কী
কারণে
দরজা
খোলা?
৩)
তেমনই
যদি
আত্মহত্যা
হয়,
তবে
এই
গণ-আত্মহত্যার
কারণ
কী?
কী
কারণে
পরিবারের
সকল
সদস্য
মৃত্যুর
পথ
বেছে
নিলেন?
৪)
প্রতিবেশীদের
কথায়,
এই
পরিবারের
কোনও
আর্থিক
অস্বচ্ছলতা
ছিল
না।
কোনও
মানসিক
চাপও
ছিল
না।
ঋণ
ভারেরও
কোনও
প্রমাণ
মেলেনি।
তাই
এই
ঘটনাকি
আত্মহত্যা
হতে
পারে?
৫)জানা
গিয়েছে,
নারায়নার
নাতনির
বিয়ে
ঠিক
হয়েছিল।
কিছুদিনের
মধ্যেই
এ
বাড়িতে
বিয়ে
ছিল।
এবং
বিয়ের
তোড়জোড়
চলছিল।
তাহলে
কেন
আত্মহত্যার
পথ
বেছে
নেওয়া?
৬)
এই
পরিবার
কিছুদিন
আগেই
একটি
দোকান
কিনেছিল।
সেই
নিরিখে
বলাই
যায়,
কোনও
আর্থিক
সংকট
থাকার
কথা
নয়।
তবে
এই
দোকান
কিনতে
গিয়ে
কি
কোনও
সমস্যা
হয়েছিল।
তৈরি
হয়েছিল
আর্থিক
সংকট?
যার
ফলে
আত্মহত্যা?
এই ঘটনায় একমাত্র গৃহকর্ত্রী ৭৫ বছরের নারায়নার মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে। ৬০ বছরের প্রতিভা, ৩০ বছরের প্রিয়াঙ্কা, ৪৬ বছরের ভূপি, ৪২ বছরের সবিতা, ২৪ বছরের নীতু, ১৮ বছরের মিনু, ১২ বথরের ধ্রুব, ৪২ বথরের ললিত, ৩৮ বছরের টিনা ও ১২ বছরের শিবমের দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। পুলিশ কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। পুলিশ অন্য কারণও খতিয়ে দেখছে। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।