উভয়ের সম্মতি থাকলে ৭ দিনেই হতে পারে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার নিষ্পত্তি, জানাল সর্বোচ্চ আদালত
হিন্দু দম্পতিকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে না। পারস্পরিক সম্মতি থাকলে সাত দিনেই হতে পারে বিচ্ছেদ। হিন্দু বিবাহ আইনে বড়সড় পরিবর্তন করে এমনটাই জানাল সুপ্রিমকোর্ট
হিন্দু দম্পতিকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে না। পারস্পরিক সম্মতি থাকলে সাত দিনেই হতে পারে বিচ্ছেদ। হিন্দু বিবাহ আইনে বড়সড় পরিবর্তন করে এমনটাই জানাল সুপ্রিমকোর্ট।
হিন্দু বিবাহ আইনে পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ আদালতের ঘোষণা, যদি দুপক্ষেরই মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে ছ-মাস অপেক্ষার কোনও দরকার পড়ে না। যদি স্বামী- স্ত্রী কমপক্ষে একবছর আলাদা থেকে থাকেন, তাহলে এই ছয়মাসের সময়সীমা তুলে দেওয়ার চিন্তা করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। আদালত আরও বলেছে, শুনানিতে দেরির ফলে পরবর্তী রিসেটলমেন্টেও দেরি হয়।
হিন্দু বিবাহ আইনের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিচারপতি একে গোয়েল এবং ইউইউ ললিত জানিয়েছেন, বিবাহ বাঁচাতেই 'কুলিং অফ পিরিয়ড' রাখা হয়েছিল। যাতে কোনও দম্পত্তি বিবাহ ভাঙতে তাড়াতাড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন। তাঁদের মধ্যেকার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এই সময় দেওয়া হয়। তবে তা কোনও ভাবেই আবশ্যিক করা যায় না।
হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি(২) ধারায় বলা রয়েছে যদি উভয়পক্ষই সর্বনিম্ন ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ আঠারো মাসের মধ্যে বিচ্ছেদের আবেদনের পরিবর্তন না করেন, তাহলে আদালত বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দেন। আইনের ১৩বি ধারায় ছয় থেকে আঠারো মাস সময়ে, দম্পতিকে সুযোগ দেওয়া হয়।
ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, যদি দুপক্ষই কোনও করমের সম্মতিতে আসতে না পারে এবং উভয়পক্ষই যদি ভরণপোষণ, সন্তানের অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় যদি মিটিয়ে নিতে পারেন, তাহলে ছয় মাসের 'কুলিং অফ পিরিয়ড' -এর প্রয়োজন পড়ে না।
আট বছরেরও বেশি আলাদা রয়েছেন এমন এক দম্পতি 'কুলিং অফ পিরিয়ড' তুলে দেওয়ার আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতেই এমন রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি(২) ধারা এখন থেকে আর বাধ্যতামূলক নয়।