বুরারির ছায়া! পরিবারের ৬ সদস্যের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হাজারিবাগে
নয়াদিল্লির বুবারি কাণ্ডের ছায়া এবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে। একই পরিবারের ছয় সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা ও দুই শিশু। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দেনার দায়ে আত্মঘাতী হয়েছে
নয়াদিল্লির বুবারি কাণ্ডের ছায়া এবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে। একই পরিবারের ছয় সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা ও দুই শিশু। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দেনার দায়ে আত্মঘাতী হয়েছে পুরো পরিবার। কেননা তাদের সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয়
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
পরিবারের
একমাত্র
রোজগেরে
রোগাক্রান্ত,
ব্যবসার
চাপ,
সঙ্গে
রয়েছে
বাজার
থেকে
নেওয়া
ঋণের
চাপ।
এইসব
কারণেই
আত্মহত্যা।
পরিবারের
তিনটি
প্রজন্ম।
বৃদ্ধ
স্বামী-স্ত্রী,
তাদের
সন্তান
ও
তার
স্ত্রী,
তাদের
দুই
সন্তান।
সব
মিলিয়ে
ছয়জনের
দেহ
উদ্ধার
হয়েছে
খাজাঞ্চি
পুকুরের
কাছে
সিএমডি
অ্যাপার্টমেন্টের
ফ্ল্যাট
থেকে।
হাজারিবাগের
ডিএসপি
চন্দন
ভ্যাটস
জানিয়েছেন,
দুই
বৃদ্ধ-বৃদ্ধার
দেহ
উদ্ধার
হয়েছে
ঝুলন্ত
অবস্থায়।
মধ্যবয়সী
মহিলা
বিষ
খেয়েছেন।
তাঁর
স্বামী
ঝাঁপ
দিয়েছেন
ব্যালকনি
থেকে।
এছাড়াও,
পরিবারের
কনিষ্ঠতম
কন্যাকে
বিষ
খাওয়ানো
হয়েছে
আর
শিশু
সন্তানের
গলা
কাটা
দেহ
উদ্ধার
করা
হয়েছে।
সুইসাইড নোটে জানানো হয়েছে আমন নামে শিশুটিকে ঝোলানো যাবে না, তাই তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে নরেশ মাহেশ্বরী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। পরিবারের ওপরেও চেপেছিল ঋণের বোঝা।
পরিবারের শুকনো ফলের ব্যবসা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে নরেশ দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসার কাজে অনুপস্থিত। ফলে পরিবারে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। সেই জন্যই এই চরম পদক্ষেপ।