তরুণ তেজপালের ছ'দিনের পুলিশ হেফাজত
এদিন কড়া পাহারায় দুপুর বারোটা দশ মিনিটে তরুণ তেজপালকে আদালতে আনা হয়। মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুনানির সময় আদালত কক্ষে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও ভাই। দৃশ্যতই বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল 'তেহেলকা' পত্রিকার প্রাক্তন মুখ্য সম্পাদককে। লক্ষণীয়, এর আগে তেজপালের আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এদিন সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেননি।
এদিকে, সাধারণ কয়েদি হিসাবে গতকাল সারা রাত গারদেই কাটাতে হয়েছে তরুণ তেজপালকে। যিনি বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তিনি নোংরা মেঝেতে চাদর পেতে শুয়েছেন অন্যান্য গুন্ডা-বদমাশদের সঙ্গে। অবশ্য বিনিদ্র রজনী কেটেছে তাঁর।
মহিলা সহকর্মীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত 'তেহেলকা' পত্রিকার প্রাক্তন মুখ্য সম্পাদক তরুণ তেজপালকে আদালতের নির্দেশে শনিবারই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল রাত সাড়ে বারোটার সময় বিধি মেনে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় গোয়া মেডিক্যাল কলেজে। তার পর রাত দু'টো নাগাদ পানাজিতে অপরাধ-দমন শাখার অফিসে নিয়ে আসা হয়। এখানকার লক-আপে তরুণ তেজপালকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তখন তার ভিতরে ছিল খুনের মামলায় অভিযুক্ত দু'জন এবং এক স্থানীয় গুন্ডা। তাদের সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করেন তিনি। পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, এটা দিল্লির কোনও বিলাসবহুল হোটেল বা 'তেহেলকা' পত্রিকার অফিস নয়। তাই তরুণ তেজপালের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা এখানে চলবে না। বাধ্য হয়ে ওই গারদেই ঢুকতে হয় 'অভিমানী' তরুণ তেজপালকে। লক-আপের খাবার নিম্নমানের, এই অভিযোগ তুলে খাবার প্রথমে খাবার খেতেও অস্বীকার করেন তিনি। পরে অবশ্য খেয়ে নেন।
তবে, জেলের ভিতর বাড়ি থেকে আনা জামাকাপড় পরবেন বলে যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা মঞ্জুর করেছে আদালত। এমনকী, বাড়ি থেকেও খাবার আনাতে পারবেন তিনি। খুনের মামলায় অভিযুক্ত বা গুন্ডারা যাতে তরুণ তেজপালের ওপর আক্রমণ না করে, তাই লক-আপের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। তারা সব সময় নজর রাখছে।