ঘোড়া কেনাবেচার ব্যবসায় জিএসটি আরোপ নির্মলার, নেতা মন্ত্রী কেনাবেচাকে ইঙ্গিত করে তুলোধোনা বিরোধীদের
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বুধবার ঘোড়দৌড়ের উপর জিএসটি আরোপের বিষয়ে কথা বলার সময় ভুল করে ভুল কথা বলে ফেলেন আর তা নিয়েই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, মন্ত্রী হর্স রেসিং বলতে গিয়ে হর্স ট্রেডিং বলে ফেলেন। এটাকে কেউ সাধারণ ভাবে দেখেছেন তবে বেশিরভাগই একে বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ কিনে নেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। অনেকেই বলছেন , মনের কথা এক্কেবারে মুখে চলে এসেছে।
ভিডিওটি বিরোধী দলগুলির প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন। অনেককেই টুইটারে মন্ত্রীর ভুল ধরাতে শোনা গিয়েছে। কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের চেয়ারম্যান পবন খেরা বিজেপি মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, "আমি জানতাম নির্মলা সীতারমন জির অন্য ধরনের চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু এতটা তা জানতাম না।"
কংগ্রেসের সম্পাদক বিনীত পুনিয়াও ভিডিওটি টুইট করেছেন এবং বলেছেন, "ঘোড়া নিয়ে ব্যাবসা বাণিজ্যের উপর যে জিএসটি আরোপ করা হয়েছে তার জন্য নির্মলা সীতারামনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।" ভারতীয় যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বিভিও ভিডিওটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
তবে এটাকে অনেকেই আবার অন্যদিক দিক দিয়ে ভেবে নিয়েছেন। তারা বলছেন ঘোড়া কেনাবেচা মানে অন্যদলের নেতা মন্ত্রীকে কেনাবেচা করা। এতদিন ধরে বিজেপি এটাই করে এসেছে। প্রচুর রাজ্যে এই বিপক্ষের ঘোড়া কেনাবেচা করেই তারা ক্ষমতায় এসেছেন। মহারাষ্ট্রে তারা ঘুরিয়ে নাক দেখিয়েছেন । ভেঙে দিয়েছেন বিপক্ষের আঘাদি জোটকে। পদত্যাগ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এবার দেখার আগামী ৯ দিনে কী ঘটনা ঘটে, কারণ যারা বিদ্রোহী হয়ে সুরাত গিয়েছিলেন এবং তলে তলে যারা জল মেপে সরে পড়েছেন তারা ফিরে এসেছেন মহারাষ্ট্রে। এবার তারা একসঙ্গে মিলে নতুন দল তৈরি করে তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন কি না সেটাই দেখার।
বিধান পরিষদের ক্রশ ভোটিংয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সমস্ত শিবসেনা বিধায়দের জরুরি বৈঠকে ডাকেন। শিবসেনার সমস্ত বিধায়কদের কঠোরভাবে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু বৈঠকের দিন থেকেই শিবসেনার নেতা ও মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ ১১ জন বিধায়ক গায়েব হয়ে যান। পরে জানা যায়, সুরাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন। শিন্ডে টুইটে জানান, বালা সাহেব ঠাকরের শিক্ষার সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। বিদ্রোহের কারণ হিসেবে তিনি হিন্দুত্বের কথাও বলেন। এরপর শিবসেনা বিধানসভা দলের নেতার পদ থেকে একনাথ শিন্ডেকে সরিয়ে দেন। দলের প্রবীণ নেতা তথা বিধায়ক অজয় চৌধুরীকে এই পদে নিযুক্ত করে শিবসেনা।