JNU হিংসা নিয়ে সিটের নোটিস ৯ জন পড়ুয়াকে! এক মহিলাকে ঘিরে শুরু ধোঁয়াশা
দিল্লি পুলিশের একটি স্পেশ্যাল টিম জেএনইউ কাণ্ডে ৯ পড়ুয়ার কাছে পাঠিয়ে দিল নোটিস। গত ৫ জানুয়ারির হিংসার ঘটনায় এই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে হামলা চালাবার অভিযোগ। তবে এমন আবহে বারবার উঠে আসছে এক মহিলার অভিযুক্ত থাকবার গুঞ্জন । একনজরে দেখে নেওয়া যাক গোটা ঘটনার পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে।
মহিলা যোগ ও জেএনইউ
প্রসঙ্গত, এক বেসরকারী চ্যানেলের তথ্য বলছে, রবিবার ৫ জানুয়ারি রাতে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনায় মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীদের মধ্যে ছিল এক মহিলাও। ওই বেসরকারী চ্যানেলের দাবি, কোমল শর্মা নামের ওই মহিলা সেজিন জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে বাম ছাত্রনেত্রী ঐশী ঘোষ সহ একাধিক পড়ুয়াকে মারধর করেন। জানা গিয়েছে, দিল্লির দৌলত রাম কলেজের ছাত্রী কোমল। এবিভিপি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে চ্যানেলটি।
তদন্ত ১৩ জানুয়ারি
এদিকে, দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল টিম জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১৩ জানুয়ারি রয়েছে তদন্তের কয়েকটি পর্যায়। আর তার জন্যই ৯ জন পড়ুয়াকে নোটিস পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। একজন মহিলা পুলিশ অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ সেদিন চালাবেন বলে খবর। দিল্লির কমলা নগরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসে কয়েকজন মহিলা পড়ুয়াকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
৩৭ জন পড়ুয়া চিহ্নিত
হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সূত্র ধরে পুলিশ ৫ জানুয়ারিতে জেএনইউ হিংসার তদন্তের কিনারা করতে শুরু করেছে। সেই গ্রুপটি হল ' ইউনিটি এগেইনস্ট লেফ্ট'। আর এই গ্রুপের সূত্র ধরেই ৯ জন অভিযুক্ত পড়ুয়াকে আলাদা করে চিনতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ ।দিল্লি পুলিশের দাবি জেএনইউ কাণ্ডে হিংসার ঘটনায় এবিভিপি ও জেএনইউএসইউ দুই পক্ষই সমানভাবে জড়িত। আর সেই মর্মে অন্তত ৩৭ জন পড়ুয়ার নাম জড়িয়েছে হিংসার ঘটনায়।