মডেল জেসিকা লালের হত্যাকারী মনু শর্মার মুক্তিতে রাজি তার বোন
বারো বছর আগে মডেল জেসিকা লালকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়েছিল তার। আপাতত তিহার জেলে বন্দী। সেই মনু শর্মা মুক্তি পেলে আপত্তি নেই বলে জানালেন জেসিকার বোন সাব্রিনা লাল।
বারো বছর আগে মডেল জেসিকা লালকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়েছিল তার। আপাতত তিহার জেলে বন্দী। সেই মনু শর্মা মুক্তি পেলে আপত্তি নেই বলে জানালেন জেসিকার বোন সাব্রিনা লাল। বললেন বোনের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এই মর্মে তিহার জেলের ওয়েলফেয়ার অফিসারকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি। তাতে মনু সম্পর্কে সাব্রিনা বলেছেন, 'এই সময়কালে সে অনেক চ্যারিটিমূলক ভাল কাজ করেছে এবং সহবন্দীদের নানাভাবে সাহায্য করেছে বলে শুনেছি। যা আমার মতে সংশোধনের চিহ্ন। ১৫ বছর জেলে খাটা হয়ে গেছে। এখন সে মুক্তি পেলে আমার আপত্তি নেই।' পরে সাংবাদিকদেরও সাব্রিনা জানান, 'আর কোনও রাগ পুষে রাখতে চাই না। ওর যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে'। এই ঘটনায় তাদের পরিবারকে যথেষ্ট ভুগতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এবার বুক থেকে বোঝাটা নামাতে চান।
বস্তুত, ভাল আচরণের জন্য মনুকে জেল কর্তৃপক্ষ 'মুক্ত কারাগার'-এ রেখেছেন। প্রতিদিন সকালে তাকে কাজ করার জন্য কারাগার থেকে বেরোতে দেওয়া হয়, আবার সন্ধেয় জেলে ফিরে আসে। তিহার জেলের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় কশ্যপ জানিয়েছেন, 'গত ছয় মাস ধরেই মনু শর্মাকে মুক্ত কারাগারে আছে'। তিহারে মনু জেলবন্দীদের পুনর্বাসনের একটি অলাভজনক সংস্থায় কাজ করেন।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৯ সালে। একটি প্রাইভেট পার্টিতে জেসিকাকে পানীয় পরিবেশন করতে বলেছিল প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রী বিনোদ শর্মার পুত্র মনু। জেসিকা অস্বীকার করায়, রাগের মাথায় বন্দুক বের করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ওই মডেলকে হত্য়া করে মনু। প্রথমে ট্রায়াল কোর্টে ছাড় পেলেও পরে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। সুপ্রীম কোর্টও সেই রায়ই বহাল রাখে। তবে মাঝে সে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। শেষবার তাকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালে।