তিন দশক আগের কেরলের সিস্টার অভয়া খুনে চাঞ্চল্যকর রায় সিবিআই আদালতের, দোষী সাব্যস্ত ২
সাল ছিল ১৯৯২। ওই বছরেই তিন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির গোপন সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় ২৭ মার্চ খুন হন কেরলের সিস্টার অভয়া। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুকে অভিযুক্তরা আত্মহত্যা বলে প্রচার করার চেষ্টা করলে উত্তাল হয় গোটা দেশ। কেরলের সরকারের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে মঙ্গলবারই এই মামলার রায় দিল সিবিআই আদালত।

দোষী সাব্যস্ত ফাদার টোমাস কোট্টুর ও সিস্টার সোফি
সূত্রের খবর, এই হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত ফাদার টোমাস কোট্টুর ও সিস্টার সোফিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের একাধিক ধারায় অভিযোগ প্রমামিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সাজার পরিমাণ ঘোষণা করা হবে আগামী বুধবার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মামলায় অপর এক অভিযুক্ত ফাদার জোসে পুথরিক্কায়ালকে ২০১৮ সালে মুক্তি দেয় সিবিআই কোর্ট। কিন্তু সেই সময়েই কোট্টুর ও সেফির ডিসার্জ পিটিশন নাকচ করে দেওয়া হয় আদালতের তরফে।

কী হয়েছিল আজ থেকে ২৮ বছর আগে ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেরলের কোয়াট্টামে একটি কনভেন্টে থাকতেন বছর একুশের সিস্টার অভয়া। এদিকে কেয়াট্টামেরই বিসিএম কলেজে অভয়াকে সাইকোলজির পাঠ দিতেন ফাদার টোমাস কোট্টুর। সিবিআই-র চার্জশিট মোতাবেক, ওই সময়কালেই ফাদার কোট্টুর, ফাদার পুথরিক্কায়াল ও সিস্টার সেফির অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন অভয়া।

অভয়া হত্যাকাণ্ডের রেশ ধরেই উত্তাল হয় গোটা দেশ
সিবিআই চার্জশিটে জানাচ্ছে ১৯৯২ সালের ২৭ মার্চ ভোর চারটে বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের রান্না ঘরেই ভোতা কোনও জিনিস দিয়ে অভয়ার মাথায় জোরালো আঘাত করে অভিযুক্তরা। তারপর তার মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় পাশের কুয়োয়। পরবর্তীতে সেফির মৃত দেহ উদ্ধার হলে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয় বলেও জানা যায়। যা নিয়ে উত্তাল হয় গোটা দেশ।

দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালান মানবাধিকার কর্মীরা
পরবর্তীতে চাপের মুখে পড়েই এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআই-র হাতে। যদিও প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক ৩টি রিপোর্টে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুর্নতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নভেম্বরে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অন্যদিকে বছরের আগেই গত হয়েছেন অভায়ার বাবা-মা। এদিকে অভয়া হ্ত্যাকাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন কেরলের একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। তাই আদালতের এই রায়কে তারা তাদের দীর্ঘ আন্দোলনের জয় হিসাবেই দেখছেন।

ব্রিটেন ছাড়াও সারা বিশ্বেই কমবেশি ছড়িয়েছে নয়া করোনা স্ট্রেন! হু-র বার্তায় বাড়ছে আতঙ্ক