কেজরিওয়ালের পথ অবলম্বন, জামিনের আবেদন জানাতে অস্বীকার যশবন্ত সিনহার
বিজেপির তরফে প্রাক্তন বিধানসভা স্পিকার সিপি সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল জেলে সিনহার সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেন যাতে তিনি নিজের জামিনের জন্য আবেদন জানান। কিন্তু দলের সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন সিনহা।
ওই প্রতিনিধি দলের এক নেতা জানিয়েছেন, জেল থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি নন যশবন্ত সিনহা। দলের তরফে তাঁকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। এদিকে সিনহার যুক্তি, বিদ্যুৎ ঘাটতির বিষয়টি তুলে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি সমর্থকরা। তিনিও সঙ্গে ছিলেন। কোনও রকমের হিংসাপূর্ণ ঘটনা ঘটেনি তাও তাঁদের যেভাবে জেলে পোরা হয়েছে তা অনৈতিক ও বেআইনি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ও দলের কর্মীদের উপর থেকে যতক্ষণ না এই বেআইনি মামলা প্রশাসন তুলে না নিচ্ছে ততক্ষণ তিনি বাইরে আসবেন না।
পরে অবশ্য প্রাক্তন স্পিকার সিনহার বিক্ষোভের সমর্থনে জানিয়েছেন, রাজ্য শাখা খুব শীঘ্রই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে কি না।
পরশুদিন যশবন্ত সিনহা ও বিজেপির কর্মীদের ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হাজারিবাগের জেএসইবি-র জেনারেল ম্যানেজার দানেশ ঝা-কে সোমবার মারধর করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নীতিন গড়করির করা মানহানি মামলায় জামিনের ১০,০০০ টাকা দিতে রাজি না হওয়া তাঁর হাজতবাসের নির্দেশ দেয় আদালত। এর পর দিল্লি হাইকের্টোর তরফে এই মামলাকে সম্মানের লড়াই না বানিয়ে ব্যক্তিগত জামিনের টাকা জমা দিয়ে জেল থেকে মুক্তি নেওয়ার জন্য বলা হয়। এর পর একগুয়েমি ছেড়ে ব্যক্তিগত জামিনে জেল থেকে বেরন কেজরিওয়াল। তাঁকে বেআইনিভাবে জেলে রাখা হয়েছে বলে দাবি তুলে প্রথমে জামিনের টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি।