চূড়ান্ত পর্যায়ে সিঙ্গুর মামলার শুনানি! ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই কি সিঙ্গুর রায়?
নয়াদিল্লি, ৪ মে : আগামিকাল রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন। কিন্তু তারই আগে সিঙ্গুর মামলার চূড়ান্ত পর্বের শুনানি হল এদিন, বুধবার। এই মামলার চূড়ান্ত রায় কবে জানা যাবে সে বিষয়ে আপাতত নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এদিন সিঙ্গুর ইস্যু নিয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেলে টাটা গোষ্ঠী সিঙ্গুরের জমি ছেড়ে দেবে কিনা তা জানতে চেয়েছে আদালত। টাটার আইনজীবী জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কি এবং তা নিয়ে মক্কেলের সঙ্গে আলোচনার পরই জবাব দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে দীর্ঘ চার-সাড়ে ঘন্টার শুনানির পর আচমকাই নড়ে-চড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। আগামী ১৯ মে ভোটের ফল প্রকাশের আগে যদি বহু প্রতীক্ষীত এই সিঙ্গুর মামলার ফল প্রকাশ হয়, তাহলে ফল যে পক্ষের বিপক্ষে যাবে তাদের ক্ষেত্রে একটা অস্বস্তির জায়গা তো তৈরি হবে বেটেই।
সিঙ্গুরের ১০০০ একরের জমি কারখানা তৈরির জন্য টাটা গোষ্ঠীকে দিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। বিরোধী আসনে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন অনিচ্ছুক চাষিদের পাশে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছিলেন। যারা কারখানার জন্য জমি দিতে না চাইলেও তখনকার সরকার তা অধিগ্রহণ করে। ২০০৮ সাল টাটা মোটর তাদের ন্যানো কারখানা গুজরাতে স্থানান্তরিত করে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মদ-মাংস দিয়ে কিনতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী, বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে কমিশনে বামেরা
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে। ২০১২ সালে সিঙ্গুরের টাটাদের জমি ফিরিয়ে দিতে নতুন আইন করে। টাটারা হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে। সেখানে হারের পর তারা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে যায়। ডিভিশন বেঞ্চ টাটাদের পক্ষে রায় দেয় এবং জানিয়ে দেয় রাজ্য সরকারের তৈরি করা আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানিই এখন চলছে।
এদিকে মঙ্গলবারের শুনানি পর্বে টাটা গোষ্ঠীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এই জমি নিজেদের কাছেই রাখতে চায় তারা। গাড়ি কারখানা না হলেও পরবর্তী কালে অন্য কোনও কাজে এই জমি লাগানো যেতে পারে।
এই মামলার রায় যদি বামেদের বিপক্ষে যায় তাহলে তা বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলবে বামেদের তা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারণেই নির্বাচনের ফলের পাশাপাশি সিঙ্গুর মামলার দিকেও তাকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেরা।