জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন, জনসনের একক–ডোজ ভ্যাকসিন আসতে পারে ভারতে
জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন, জনসনের একক–ডোজ ভ্যাকসিন আসতে পারে ভারতে
দেশে আসতে পারে জনসন অ্যান্ড জনসনের একক–ডোজের ভ্যাকসিন। ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানাল জনসন অ্যান্ড জনসন। ১৩৪ বছরের পুরনো মার্কিন ফার্মা জনসন অ্যান্ড জনসন ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার কাছে তাদের একক ডোজের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এর আগে এই সংস্থা ট্রায়ালের জন্য আবেদন জানিয়েছিল কিন্তু তাতে রাজি হ্যনি ভারত। বলা হয়েছিল ট্রায়াল শেষের পরে তারা সরাসরি ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য আবেদন করতে পারে। এই মর্মে জে অ্যান্ড জে তাদের আগের আবেদন প্রত্যাহার করে শুক্রবার এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে ৫ অগাস্ট সংস্থা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের আবেদন জমা দিয়েছে।
বায়োলজিক্যাল ই–এর সহায়তা
বিবৃতিতে জে অ্যান্ড জে বলেছে, 'এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক যা আমাদের একক-ডোজের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ভারতবাসী ও বিশ্ববাসীর কাছে আসতে পথ সুগম করেছে। আমরা বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছি। বিভিন্ন দেশের সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে তারাই পরিচয় করাচ্ছে তাদের।'
কার্যকারিতা দেখিয়েছে এই ভ্যাকসিন
জানা গিয়েছে, যদি ভারতে জে অ্যান্ড অনুমোদিত হয় তবে মডার্না ও স্পুটনিক ভি-এর পর ভারত তৃতীয় বিদেশে তৈরি ভ্যাকসিন পেতে চলেছে। জনসন সংস্থারই জনসিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জে অ্যান্ড জে-এর ভ্যাকসিন তৈরি করছে। এই ভ্যাকসিন একক ডোজের এবং জটিল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন ৮৫.৪ শতাংশ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের ওপর ৯৩.১ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এই টিকা করোনার একাধিক ভ্যারিয়ান্ট রুখতে সফল বলে দাবি করেছে সংস্থা। এপ্রিল মাসে এক আন্তর্জাতিক জার্নালে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
অন্যান্য দেশে অনুমোদন পেয়েছে জে অ্যান্ড জে
আমেরিকার এফডিএ কর্তৃপক্ষ জে অ্যান্ড জে-এর একক ডোজের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতেই জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেয়। এখন এই একক-ডোজের ভ্যাকসিন একাধিক দেশের অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে।
একাধিক বিদেশি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে একাধিক বিদেশি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে দেশে। এখন পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। বিদেশি ভ্যাকসিনের মধ্যে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ও মর্ডানার টিকাকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দেশের অনেক ওষুধ সংস্থাই বিদেশি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করছে, তবে সেগুলি ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। জে অ্যান্ড জে অনুমোদন পেলে তারাও দেশীয় কোনও সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে উৎপাদন ও বিতরণ শুরু করতে পারে।