কল্যাণে ভর করে মাদ্রাসা নিয়ে যোগীর নির্দেশ অমান্য, কী বলছেন মৌলবীরা
স্বাধীনতা দিবসকে দেশভক্তি দিবস হিসেবে পালন করুন। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না। একইসঙ্গে ভিডিও-ও করবেন না। কেননা তা ইসলাম বিরোধী। যোগীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে আবেদন মৌলবীদের
স্বাধীনতা দিবসকে দেশভক্তি দিবস হিসেবে পালন করুন। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না। একইসঙ্গে ভিডিও-ও করবেন না। কেননা তা ইসলাম বিরোধী। উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে ১৫ অগাস্ট জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও অনুষ্ঠানের ভিডিও রেকর্ডিং আবশ্যক ঘোষণার পরদিন মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে এমনই আবেদন করলেন বেশ কিছু মৌলবী।
বেরিলির শাহর কাজি মৌলনা আসজাদ রাজা খান, সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জকে তুষ্ট করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন । কিন্তু ইসলাম বলছে, অধিনায়ক স্বয়ং আল্লা, জর্জ কিংবা অন্য় কোনও ব্যক্তি নয়। জাতীয় সঙ্গীতকে অসম্মান করছেন না বলে জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, ধর্মীয় অনুভূতির কারণে তা গাওয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিং-এর নাম নিয়েছেন। তাঁর দাবি, কল্যাণ সিংও জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি আপত্তি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত,
২০১৫-র
জুলাইয়ে
কল্যাণ
সিং
রাজস্থান
বিশ্ববিদ্যালয়ের
কনভোকেশনে
বলেছিলেন,
জাতীয়
সঙ্গীত
লেখার
সময়
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর
ইংরেজ
শাসকদের
তুষ্ট
করতে,
'অধিনায়ক
জয়
হে'
লিখেছিলেন।
সেই
জায়গায়
তিনি,
'জনগন
মন
মঙ্গল
গায়ে'-এর
প্রস্তাব
করেছিলেন।
বেরিলির শাহর কাজি মৌলনা আসজাদ রাজা খানের দাবি, শরিয়া অনুয়ায়ী ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি ইসলাম বিরোধী। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার সেই নিয়ম ভাঙার কথা বলছে। তাই মাদ্রাসার ম্য়ানেজারদের কাছে তাঁর আবেদন, মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হোক, মিষ্টি বিতরণের সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ইকবালের সারে জাঁহা সে আচ্ছা গান হোক, কিন্তু জন গণ মন নয়।
পিলভিটের শাহর মুফতি মৌলনা জার্তাব রাজা খান জানিয়েছেন, তাঁরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য যোগী আদিত্যনাথকে অনুরোধ করেছেন। যদি তা না করা হয়, তাহলে ওই নির্দেশ অমান্য করা ছাড়া মুসলমানদের আর উপায় থাকবে না বলেও মন্তব্য করেছেন ওই মৌলবী।