আরও তীব্র হচ্ছে কৃষক আন্দোলন! কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে দিল্লি সীমান্তে 'দুর্গ' তৈরি প্রতিবাদীদের
শুক্রবার কৃষি আইন প্রসঙ্গে আন্দোলনরত কৃষদের সঙ্গে অষ্টম দফায় বৈঠকে বসে কেন্দ্র৷ যদিও সেই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি৷ কৃষকদের তরফে স্পষ্ট বলা হয় যে, 'আইন প্রত্যাহার হলেই ঘরে ফিরব৷' এরই মাঝে আরও তীব্র আন্দোলনের জন্যে তৈরি হচ্ছে কৃষকরা। এখনও গাজিপুর ও চিল্লা সীমান্ত আংশিক ভাবে বন্ধ রেখেছেন কৃষকরা। এদিকে সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমান্ত এখনও পুরোপুরি বন্ধ।

'দুর্গ' তৈরি করছেন কৃষকরা
টানা এক মাসেরও বেশি সময় যাবত দিল্লির সীমান্তে প্রতিবাদ-অবস্থান করছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বৈঠকের পরেও কোনও সমাধানসূত্র আসেনি। চার দিন পরেই ফের এক দফা বৈঠক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর রাজপথে ট্র্যাক্টর ব়্যালির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। এরই মাঝে কনক্রিটের নির্মাণ সহ ওয়াটারপ্রুফ ত্রিপল দিয়ে 'দুর্গ' তৈরি করছেন কৃষকরা।

হরিয়ানায় ফের কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ পুলিশের
এর আগে রবিবার হরিয়ানার কৈমলা গ্রামে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর৷ কৃষকদের কৃষি আইন নিয়ে বোঝানোর জন্য সেখানে যাওয়ার কথা তাঁর৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার আগেই কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের বিরোধ বাধে৷ একই সঙ্গে তাঁদের আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান প্রয়োগ করা হয়৷ লাঠিচার্জও করে পুলিশ৷ আন্দোলনকারীরা কৈমলা গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়৷

চাপে রয়েছে খট্টরের সরকার
এর আগেও কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানায়৷ নভেম্বরে পঞ্জাবের কৃষকরা দিল্লি যাওয়ার পথে হরিয়ানায় পৌঁছালে তাঁদের বাধা দেয় সেই রাজ্যের পুলিশ৷ তখনও একাধিক ভিডিয়ো ফুটেজ সামনে আসে৷ যেখানে দেখা যায় কৃষকদের উপর কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ার পাশাপাশি তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়৷ সেই ফুটেজ সামনে আসার পর সরব হয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং৷ পাশাপাশি সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল৷ এরপর আবারও আজ কৃষকদের উপর একই রকম ব্যবহার করতে দেখা গেল হরিয়ানা পুলিশকে৷

দফায় দফায় বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র ও আন্দোলনরত কৃষকেরা
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র ও আন্দোলনরত কৃষকেরা৷ যদিও এখনও পর্যন্ত বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি৷ পরবর্তী বৈঠক হবে ১৫ জানুয়ারি৷ কৃষকদের বক্তব্য, 'সরকার চাইছে আমাদের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ করতে৷ কিন্তু, আমরা আমাদের মামলাটি আদালতে সামনে নিয়ে যেতে চাই না৷ এমনকী সুপ্রিম কোর্ট যদি আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা বলে, সেক্ষেত্রেও আমরা প্রত্যাহার করব না৷ শান্তিপূর্ণভাবেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব৷'