মারাঠা ও দলিত ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ কোরেগাঁও যুদ্ধ, যার বর্ষপূর্তীতে জ্বলল হিংসার আগুন
ব্রিটিশরাজত্বে ইংরেজদের পরাস্ত করার গর্ব ভারতের বহু বিপ্লব, আন্দোলন, যুদ্ধ; অর্জন করেছে। কিন্তু কোরেগাঁওয়ের যুদ্ধ এক অন্য ইতাহাস লিখেছে।
ব্রিটিশরাজত্বে ইংরেজদের পরাস্ত করার গর্ব ভারতের বহু বিপ্লব, আন্দোলন, যুদ্ধ; অর্জন করেছে। কিন্তু কোরেগাঁওয়ের যুদ্ধ এক অন্য ইতাহাস লিখেছে। যাকে ঘিরে মারাঠি ইতিহাস তথা মহারাষ্ট্রের সমাজিক পরিস্থিতির বহু দিক আবর্তিত হয়। কেমন ছিল এই যুদ্ধ? কেমনই বা এই যুদ্ধ ঘিরে জাতপাতের সংবেদনশীলতা উস্কানি পায় ? দেখে নেওয়া যাক।
ভিমা কোরেগাঁও-এর যুদ্ধ
১৮১৮ সালের ১ লা জানুয়ারি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে যুদ্ধ লিপ্ত হয় মাহারাষ্ট্রের পেশওয়ারা। পেশওয়া বাজি রাও দ্বিতীয়ের নেতৃত্বে এই যুদ্ধে অংশ নেন ২৮০০০ মারাঠা। মারাঠা শক্তি সেইদিন পুনে দখল করেত যাচ্ছিল। পথে কিছু ব্রিটিশ সৈন্য তাঁদের আটকে দেয়।
[আরও পড়ুন:হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্ত মুম্বই, বন্ধ স্কুল,কলেজ, শান্তির আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর ]
পরাস্ত হয় ব্রিটিশ
মহারাষ্ট্রের ভিমা কোরাগাঁও গ্রামে ব্রিটিশ সৈন্য়রা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। এই সময় কোরেগাঁওতে মোতায়েন করা ব্রিটিশ সৈন্যদের পরাস্ত করেত পেশওয়া আরও ২০০০ সৈন্য পাঠান। এরপর ব্রিটিশদের তরফে আরও সৈন্য আসার খবর পেয়ে পিছু হটে মারাঠা সৈন্যরা।
[আরও পড়ুন:পুনের দুই ভিন্ন জাতির মধ্যে কোন সমস্যার জেরে হিংসা ছড়ায়, আজ উত্তাল হয় মুম্বই, জানুন]
কোরেগাঁও-এর যুদ্ধ ও দলিত ইতিহাস
এই যুদ্ধে ব্রিটিশ কম্পানি সেনার হয়ে লডা়ই করে মহর দলিত সৈন্যরা। যাঁদের জন্য পিছু হটকে বাধ্য হন পেশওয়া বাজিরাও দ্বিতীয় নেতৃত্বাধীন মারাঠি সৈন্যরা । আর সেই থেকে এই যুদ্ধকে দলিত ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ বিজয় বলে দেখা হয়। আর কোরেগাঁও-তে পালিত হয় এই যুদ্ধের বর্ষপূর্তী।
[আরও পড়ুন:কাল মহারাষ্ট্র বনধের ডাক দলিত সংগঠনগুলির, টুইটবার্তায় সোচ্চার রাহুল, আসরে জিগনেশ]
যুদ্ধে মারাঠি ও দলিত বিরোধের প্রাসঙ্গিকতা
জাতপাতের বিচারে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে দলিতদের অচ্ছুত মানা হত। তাই এই যুদ্ধে উচ্চশ্রেনির মারাঠা জাতির ওপর দলিতদের বিজয় হিসাবে দেখা হয়। আর কোরেগাঁওয়ের বিজয় স্তম্ভে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি, ভিড় করেন কয়েক লক্ষ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। এই স্তম্ভ এককালে পরিদর্শন করেন ভিমরাও আম্বেদকরও।