হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় পর্যাপ্ত পোশাক, খাদ্য পান না সিয়াচেনের প্রহরীরা, কী বলছে ক্যাগ রিপোর্ট
ভারতের উচ্চতম এবং শীতলতম সীমান্ত সিয়াচেন। সেখানকার জওয়ানরা হাড় কাঁপানো শীত কাটানোর পর্যাপ্ত পোশাক পান না। পান না পর্যাপ্ত ক্যালোরির খাবারও।
ভারতের উচ্চতম এবং শীতলতম সীমান্ত সিয়াচেন। সেখানকার জওয়ানরা হাড় কাঁপানো শীত কাটানোর পর্যাপ্ত পোশাক পান না। পান না পর্যাপ্ত ক্যালোরির খাবারও। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ২ বছর আগের ক্যাগ রিপোর্টে। গত ২ ফেব্রুয়ারি সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে সংসদে।
কষ্টে রয়েছেন সিয়াচেনের জওয়ানরা
সারা বছরই তাপমাত্রা প্রায় হিমাঙ্কের নীচে থাকে। এমনই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দেশ রক্ষার কাজ করেন তাঁরা। উচ্চতার কারণে অক্সিজেন সংকট তো রয়েইছে। অক্সিজেনে কম থাকায় সহজেই ক্লান্তি শরীরে ভর করে। অথচ পর্যাপ্ত ক্যালোরির খাবার দেওয়া হয় না তাঁদের। এমনকী হাড় কাঁপানো শীত থেকে বাঁচার জন্য পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও পান না সিয়াচেনের জওয়ানরা। শুধু সিয়াচেন নয়, এমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে ডোকালা, লাদাখের জওয়ানরাও। এমনই তথ্য দিয়েছে ২ বছর আগের ক্যাগ রিপোর্ট।
অস্বস্তি বাড়ল মোদী সরকারের
২ ফেব্রুয়ারি দুবছর আগের ক্যাগ রিপোর্টে সিয়াচেনের জওয়ানদের নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদী সরকারকে। কারণ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সিয়াচেনের জওয়ানদের উৎসাহ বাড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও সেখানে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এতবার সফরের পরেও কেন জওয়ানদের এই অবস্থা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খাবার নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল বিএসএফেও
যদিও সেনাবাহিনীতে জওয়ানদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগে বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর ফেসবুকে খাবারের নিম্নমানের ভিডিও প্রকাশ করে সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন। তাঁকে বিএসএফ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।