কৌশলগতভাবে সিয়াচেন আমাদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ : সেনাপ্রধান জেনারেল নারভানে
শনিবার দিল্লির সংবাদ সম্মেলনে সিয়াচেনের গুরুত্ব নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারভানে। তিনি বলেন, 'সিয়াচেন আমাদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিয়াচেনের একদিকে আমাদের পশ্চিম সীমান্ত অন্য দিকে উত্তর সীমান্ত। এই স্থানটির কৌশলগত গুরুত্ব আমাদের জন্যে খুব বেশি। এই স্থান থেকেই ভারতের উপর গোপনে হামলা চালানোর ছক কষতে পারে শত্রুপক্ষ।'
বৃহস্পতিবার সিয়াচেন সফরে যান জেনারেল মুকুন্দ নারভানে
সেনাপ্রধান হওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবার সিয়াচেন সফরে যান জেনারেল মুকুন্দ নারভানে। সেখানে গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটান সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে। বৃহস্পতিবার সিয়াচেনে গিয়ে তিনি শহিদ জওয়ানদের স্মৃতি সৌধে নিজের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। সেনাপ্রধান সেখানে মোতায়েন থাকা সকল সৈনিকের সঙ্গে পরিচয়পর্বও সারেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন তিনি। সেখানে তাঁদের সঙ্গে খাবার পর্ব সারেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং।
সেনাপ্রধান হিসাবে সিয়াচেনে গিয়ে খুশি প্রকাশ করেছিলেন জেনারেল নারভানে
সেখানে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে সেনাপ্রধান তাঁর সফর সম্পর্কে বলেন, 'আমি নতুন বছরের সুভেচ্ছা জানাতে এখানে এসেছি। আমার সবসময় ইচ্ছা ছিল যে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেই এখানে আসব। তবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এখানে আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমি আসতে পারিনি। কিন্তু আমি খুশি শেষ পর্যন্ত সেনাপ্রধান হিসাবে আমি সিয়াচেনে নিজের প্রথম সফর করতে পেরে।'
কর্তব্যরত সেনাকর্মীদের প্রশংসা
সিয়াচেনে কর্তব্যরত সেনাকর্মীদের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, 'আমরা জানি যে কোন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকে আমাদেন সেনারা এখানে কাজ করে। এখানকার আবহাওয়া খুব রুক্ষ। আমরা আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা করছি এটা সুনিশ্চিত করতে যে আমাদের কর্তব্যরত সেনাদের এখানে যত সম্ভব কম অসুবিধা হয়। আরও ভালো পোশাক ও রেশন পাঠাচ্ছি আমরা।'
|
'চিন-পাকিস্তান উভয় সীমান্তেই সমান মনযোগ দিতে হবে'
এদিকে আজ চিন-পাকিস্তান উভয় সীমান্তেই সমান মনযোগ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান বলেন, 'আমার মনে হয় উত্তর এবং পশ্চিম, উভয় সীমান্তেই সমান মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে।'
|
সেনাপ্রধানের বক্তব্য
উভয় দিকের সীমান্তেই সমান মনযোগী হওয়া প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, 'যদি আমরা দেখি যে কোনও একটি সীমান্ত থেকে আমাদের উপর চাপ আসছে তবে সেনার সিংহভাগকে সেখানে পাঠআনো হবে। তবে অপর প্রান্তকে ফাঁকা করে দেওয়া হবে না। সেখানেও পর্যাপ্ত পরিমাণে সৈন্য মোতায়েন থাকবে। যাতে সেই দিক দিয়েও যদি হামলা হয় তবে তা আমরা প্রতিহত করতে পারি। এই কারণেই আমাদের যুগ্ম টাস্ক ফোর্স রয়েছে।'