মোমিনপুরের ঘটনার পিছনে রয়েছে আল কায়দা আইএসআইএসের হাত, দাবি শুভেন্দুর
মমিনপুরের ঘটনার পিছনে রয়েছে আল কায়দা আইসিসের হাত। এমনটাই বললেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন ৫০০০ হিন্দু হামলার জন্য কলকাতা থেকে পালিয়েছেন। তিনি বলেন আমি কলকাতা পুলিশকয়ে চ্যালেঞ্জ করছি যে, এই ঘটনায় আপনাদের তিন জন আহত হয়েছেন। তিন জন আইপিএস আছেন হাসপাতালে।
তিনি বলেন যে, "আপনারা বিজেপি নেতাদের ওই এলাকায় ইচ্ছা করে যেতে দেননি। অইন এলাকায় ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। আপনি আমাদের রাজ্য প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করেছেন। এবার আপনারা ভাবুন কেমন মুখ্যমন্ত্রী আপনারা বেছে নিয়েছেন। ওঁরা জঘন্যরকম ভাবে হামলা চালাচ্ছে। আমরা চাই না বাঙালি হিন্দুরা আর এখান থেকে চলে যাক। আমরা এই বিষয় নিয়ে বাংলার রাজ্যপাললেও চিঠি লিখেছি। এই নিয়ে সঠিক প্রমাণ দিয়ে চিঠি লিখেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও"।
আমরা শীঘ্র এখানে সিআরপিএফ মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছি। আমরা চাই যারা এই ঘটনার শিকার হয়েছেন তাঁদের রাজ্য সরকার আর্থিকভাবে সাহায্য করুক। আমাদের তৃতীয় দাবি বোল এই যে, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের ধরা হোক। আমরা চাই যারা আসল কালপ্রিট তারা ধরা পড়ুক। এর পিছনে হাত রয়েছে আল কায়েদা এবং আইএসআইএস-এর।
দুই গোষ্ঠীর সংঘাতের ঘটনায় একেবারে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মোমিনপুর-একবালপুর। যদিও রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি একেবারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনার পরেই আজ সোমবার সকাল থেকে বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কিন্ত্য চিংড়িহাটা এলাকা থেকে আটক করা হয় তাঁকে। প্রথমে আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। আর এরপরেই আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আর তা নিয়ে একেবারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যজুড়ে ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। জেলার সর্বত্র বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। এমনকি কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ করা হয়। যার ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদে সেন্ট্রাল অ্যাভনিউতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সজল ঘোষ, রুদ্রনীল। রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, "পুলিশকে পঙ্গু করছে পুলিশমন্ত্রীই"। আর এই কারণেই এমন ঘটনা রাজ্যে রোজ বাড়ছে বলে দাবি অভিনেতার। অন্যদিকে সজল ঘোষ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারকে ছাড়া না হলে লালবাজার অভিযানের ডাক দেন বিজেপি নেতা। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারের পরেই বিধায়কদের নিয়ে লালবাজার পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। কেন আটক করা হল সুকান্তকে সেই বিষয়ে একদিকে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অন্যদিকে কেন তাঁরা মোমিনপুর যেতে পারবেন না সে বিষয়েও কথা হয়।
নিরামিষাশী কুমীর, চলে গেল পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের রক্ষাকর্তা