লকডাউনের জেরে আটকে পড়ছে অত্যাবশ্যক পণ্যবাহী ট্রাকও! বাড়ছে কালোবাজারির আশঙ্কা
লকডাউনের নিয়ামকানুন মানা হচ্ছে না অনেক রাজ্যেই। এদিকে অনেক জায়গায় বেশি বেশি কড়াকড়ির জেরে আটকে পড়েছে অত্যাবশ্যক পণ্যবাহী ট্রাকও। এর জেরে বাজারে দেখা দিয়েছে বহু বস্তুর আকাল। অযথা দাম বাড়ছে জিনিসপত্রের। এই বিষয়ে এবার রাজ্যগুলিকে বার্তা পাঠাল কেন্দ্র।
করোনা প্রকোপ ক্রমেই জাঁকিয়ে বসেছে দেশে
করোনা প্রকোপ ক্রমেই জাঁকিয়ে বসেছে দেশে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০০০-র বেশি মানুষ। মারা গিয়েছে প্রায় ৩০০ জন। রোজই নতুন করে কয়েকশো আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। এরই মধ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়া নিয়ে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে যাতে অত্যাবশ্যক সামগ্রী মজুত করে না রাখা হয় ও জিনিসের কালোবাজারি না হয় সেই দিকে নজর রাখতে রাজ্যগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে।
কালোবাজারি রুখতে তৎপরতা
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি লিখেছেন ও তাদের এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্ট ১৯৫৫-এর ধারার অধীনে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। ভাল্লা জানিয়েছেন যে কেন্দ্র খাদ্য, ওষুধের ক্ষেত্রে উত্পাদন ও পরিবহনের ওপর ছাড় দিয়েছে। এখনই অত্যাবশ্যক সামগ্রী আইনের ধারা মোতাবেক দাম নিয়ন্ত্রণ, স্টকের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ, প্রোডাকশন বৃদ্ধি, ডিলারদের গুদাম পরীক্ষা করা যেতে পারে। সেই নির্দেশিকাতেই ছিল যে অত্যাবশ্যক পণ্যবাহী ট্রাকগুলিকে করোনা লকডাউন থেকে ছাড় দেওযা হবে।
আইন ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ
এদিকে কালো বাজারি সংক্রান্ত আইন ভাঙবে তাদের সাত বছরের জেল, জরিমানা বা উভয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। একই সঙ্গে শ্রমিকদের অভাবে উত্পাদন কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে কালোবাজারির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এর ফলে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। কালোবাজারি রুখতে তাই আগেভাগে রাজ্যদের সতর্ক হতে বলেছে কেন্দ্র।
লকডাউন বাড়ছে আরও!
এদিকে এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দেশের লকডাউন পর্ব শেষ হওয়ার কথা। তবে যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা বিবেচনা করে এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে বলেই অনেকে মনে করছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য ঘোষণা করে দিয়েছে যে ১৪ এপ্রিলের পরেও তারা লকডাউন চালিয়ে যাবে। তবে এই পরিস্থিতিতে যাতে রোজকার সামগ্রীর ঘাটতি না দেখা দেয়, সেই বিষয়টির উপর নজর দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা পৈঁছাল রাজ্যগুলির কাছে।