
সোমবার থেকেই খুলছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ-হোটেল, কিন্তু নতুন বিধিনিষেধ গুলি জানেন কি
চার দফার লকডাউন শেষে পঞ্চম দফা থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধে বেশ কিছু শিথিলতা এনেছে কেন্দ্র। আনলক ১.০-র হাত ধরে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ভারতের জনজীবন। এমতাবস্থায় সোমবার থেকেই খুলছে দেশের একাধিক শপিং মল, রেস্তোরাঁ-হোটেল। কিন্তু তারপরেও সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষধ বা সহজ ভাষায় শর্ত আরোপ করা হয়েছে সরকারের তরফে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। আসুন একনজরে সেগুলিই জেনে নেওয়া যাক।

হোটেল-রেস্তোরাঁ স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার কথা থাকলেও গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে
বর্তমানে আড়াই মাস পর হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলি খুললেও সরকারের এই সমস্ত কঠোর বিধিনিষেধের গেরোয় পড়ে কতজন আদপেই সেখানে আসবেন সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। একইসাথে শপিং মল গুলিতে মানুষের আনাগোনার ব্যাপারে কড়া নজরদারি রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি উইন্ডো শপিং করতে আসা এবং ফুডকোর্টে সময় কাটানো মানুষের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকা থেকে জানা যাচ্ছে।

শপিং মল গুলির জন্য কি বিধিনিষেধ রয়েছে ?
অন্যদিকে শপিং মলে একসঙ্গে কতজন মানুষ থাকতে পারবেন তাও নির্দিষ্ট করা হচ্ছে বলে খবর। মলে ঢুকতে গেলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা বাধ্যতামূলক। এদিকে একটি সমীক্ষা সূত্রে খবর, শপিং মলে গড়পড়তা হিসাবে পৌনে তিন ঘণ্টা সময় কাটান সাধারণ মানুষ। বর্তমানে এই সময় কাটছাঁট করে এক ঘণ্টা করা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। বর্তমানে কলকাতার সাউথ সিটি মলে এক সঙ্গে দশ হাজার মানুষ ঢুকতে পারবেন না বলে জানা যাচ্ছে। মানি স্কোয়ারে এই পরিমাণ ছয় হাজার।

রেস্তোরাঁ গুলির জন্য কি বিধিনিষেধ আরোপ করল সরকার ?
পাশাপাশি সংক্রমণ ঠেকাতে রেস্তোরাঁয় মানুষের গতিবিধির উপরেও কড়া নজরদারি চলবে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি হোটেল রেস্তোরাঁর কর্মীদের উপরেও আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন শর্ত। কেবলমাত্র কোনোরকম উপসর্গহীন কর্মীরাই এখানে কাজ করতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে কলকাতার সাউথ সিটির মতো মলে বিভিন্ন শো-রুম ও রেস্তোরাঁ মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যাই প্রায় আড়াই হাজার।

অনলাইন ডেলিভারির উপর জোর দেওয়া নির্দেশ
একইসাথে প্রতিটি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে পেপার ন্যাপকিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে যতটা সম্ভব খাবারের অনলাইন ডেলিভারির উপর রেস্তোরাঁ গুলিকে জোর দিতে বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। পাশাপাশি প্রতিটি রেস্তোরাঁয় ঢোকার ক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্রিনিং, সানিটাইজেশন, মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁর মধ্যে সেলফি তোলাও নিষিদ্ধ করা হয়ে বলে জানা যাচ্ছে।

হোটেল যেতে গেলে কী কী সতর্কতা মানতে হবে ?
পাশাপাশি হোটেল গুলির ক্ষেত্রেও এক গুচ্ছ নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মাস্ক, থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করারা পাশাপাশি নতুন অতিথিদের মালপত্র স্যানিটাইজ করার পরই রুমে নিয়ে যাওয়া যাবে। একইসাথে রুম সার্ভিসের ক্ষেত্রে মোবাইলে অর্ডার নেওয়ার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরিষেবা দিতে হবে। অতএব, এই সরকারি নির্দেশিকার দ্বারা মানুষের জীবন যাত্রা পুরনো ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করা হলেও সব কিছু আগের মতো স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছু মাস গেলে যাবে তা বলাই বাহুল্য।
Recommended Video

করোনা ভয় কাটিয়ে অবশেষে স্যানিটাইজড দুর্গা কুমোরটুলি থেকে পাড়ি দিল অস্ট্রেলিয়ায়