করোনার চোখ রাঙানি ও কংগ্রেসের অনুপস্থিতিতে অনায়াসে ফ্লোর টেস্টে বাজিমাত শিবরাজের
অনুপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা। ছিল না কোনও করোনা ভাইরাসের চোখ রাঙানি। সোমবার চতুর্থবারের মত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কোনও অসুবিধা ছাড়াই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন শিবরাজ সিং চৌহান। আর এর সঙ্গেই কার্যত মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চতুর্থ কার্যকাল শুরু করলেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
১১২ জন বিধায়কের সমর্থন পান শিবরাজ
মঙ্গলবার আস্থা ভোটে মোট ১১২ জন বিধায়কের সমর্থন পান শিবরাজ সিং চৌহান। নিজের দলের ১০৬ জন বিধায়ক ছাড়াও সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির সমর্থনও পান শিবরাজ। এছাড়া নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনও পান তিনি।
কংগ্রেসের সঙ্গীদের সমর্থন বিজেপিকে
২২ জন বিধায়কের ইস্তফার পর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে শিবরাজের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০৪ বিধায়কের সমর্থন। সেই সংখ্যা বিজেপির কাছেই ছিল। তবে যেভাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করা সপা ও বিএসপি বিজেপিকে সমর্থন করতে এগিয়ে আসে তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
আস্থা ভোটে অনুপস্থিত কংগ্রেস
২৩০ সদস্য বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ২০৬। যার অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ছিল ১০৪। তবে কংগ্রেসের থেকে ২২ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর তাদের কাছে ছিল মাত্র ৯২ জন বিধায়কের সমর্থন। হার নিশ্চিত জেনে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন কমলনাথ। আর আজ আস্থা ভোটে কমলনাথ সহ কংগ্রেস বিধায়করা অনুপস্থিত ছিলেন সদন থেকে।
করোনা বিলম্বের পর সোমবার শপথ নেন শিবরাজ
এর আগে করোনা ভাইরাসের কারণ দেখিয়ে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন ১০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস। আর কমলনাথ সরকারের এই সিদ্ধান্তেরই বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা পুনর্দখলের রাস্তা মসৃণ করে বিজেপি। এরপর করোনা ভাইরাসের জেরে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে সরকার গঠনের বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল বিজেপি। করোনা বিলম্ব দূরে সরিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় চতুর্থবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন শিবরাজ সিং চৌহান।