কংগ্রেস-চিন সম্পর্কের খোলসা করুক সনিয়া! লাদাখ ইস্যুতে গান্ধী পরিবারকে তোপ শিবরাজের
পিএম কেয়ারস ফান্ডে অনুদান দিয়েছে চিনা কম্পানি। রবিবারই অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। আর এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান নেতা শিবনাথ সিং চৌহান। কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ভারতবাসী জানতে চাইছে কেন চিনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন?
সনিয়া গান্ধীকে জবাব দিতে হবে
তিনি বলেন, 'সনিয়া গান্ধীকে জবাব দিতে হবে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন কেন সেদেশ থেকে টাকা নিয়েছিল। আসলে ওরা চিন থেকে অনুদান পেয়েছিল। এরপরই ওরা চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। কংগ্রেসের উচিত দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।'
দেশের সুরক্ষায় গান্ধীদের কোনও কথা বলার অধিকার নেই
তিনি আরও বলেন, 'দেশের সুরক্ষায় তাদের আর কোনও কথা বলার অধিকার নেই। ২০০৫-০৬ সালে চিন কংগ্রেসকে ৯০ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছিল। কংগ্রেসের কি লজ্জা আছে? সেই সময় কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করতেন সনিয়া গান্ধী। জওহরলাল নেহরু রাষ্ট্রসংঘে চিনকে স্থায়ী সদস্য করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বর্ডারে রাস্তা তৈরির কথা বললে চিন আজ হতবাক কেন? ভারত হল বিশ্বের একমাত্র দেশ যে পারে ভবিষ্যতে চিনের থেকে এগিয়ে যেতে।'
লাদাখ ইস্যুতে নেহরুকে আক্রমণ
শিবরাজ সিং চৌহানের বক্তব্য, 'জওহরলাল নেহরু "হিন্দি-চিনি ভাই ভাই" স্লোগান দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীকালে তিনি নিজেই জানতেন না যে ১৯৬২ সালে চিনারা কখন ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। চিন যখন ভারতে প্রবেশ করে কংগ্রেস পার্লামেন্টে বলেছিল যেখানে ঘাস পর্যন্ত জন্মায় না সেখানকার জমি নিয়ে ওরা কী করবে?
প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা
এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। চিন ভুলে গেছে এই ভারত ১৯৬২ সালের নয়। এই ভারত মোদির ভারত। আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে। কাউকে উস্কানি দেব না। তবে কেউ যদি আমাদের উস্কে দেয় তবে আমরা তাদের ছেড়ে দেব না। দেশকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নতুন ভারত গঠিত হচ্ছে।'
চিনকে রুখতে ভারতের পাশে বিশ্বের তাবড় দেশগুলি, দ্বন্দ্ব ভুলে সামরিক সাহায্য রাশিয়া-আমেরিকার!