বিজেপির ‘ক্ষমতার অহংকার’ চূর্ণ করেছেন শরদ পাওয়ার, দাবি শিবসেনার মুখপত্রে
বিজেপির ‘ক্ষমতার অহংকার’ চূর্ণ করেছেন শরদ পাওয়ার, দাবি শিবসেনার মুখপত্রে
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ বাণ ছুঁড়ল শিবসেনা। গেরুয়া শিবিরের জোট দল শিবসেনা তাদের দলীয় মুখপত্র সামনার সম্পাদকীয়তে বিজেপিকে 'ক্ষমতার অহংকার’ বলে কটাক্ষ করেছে এবং 'সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ কখনই তাদের আশানুরুপ হয়নি।
শুক্রবার সমানার সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়। যেখানে শিবসেনা প্রশংসা করেছেন এনসিপি প্রেসিডেন্ট তথা বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ারের। এমনকী সম্পাদকীয়তে নেতৃত্বহীন কংগ্রেসও আগের তুলনায় ভালো ফল করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই ২৮৮ আসন বিশিষ্ট বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যেখানে বিজেপি ১০৫টি আসন পেয়েছে এবং শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি। শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে, অন্যদিকে তারই জোটসঙ্গী কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছে। উভয় জোটই ২০১৪ সালের নির্বাচনের থেকে খারাপ ফল করেছে। ভোট সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। মহারাষ্ট্রের মসনদে কে বলবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি–শিবসেনা তরজা চলছে। এরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানিয়েছেন যে চূড়ান্ত আদেশ না আসা পর্যন্ত সরকার গঠন করা হবে না। এই মন্তব্যের পরই সামনার সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়।
সম্পাদকীয়তে উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, '২০১৪ সালের থেকে এ বছরের ফলাফল অনেকটাই আলাদা। যদিও তখন আমরা বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলাম না। ২০১৯ সালে বিজেপি–সেনা জোট হওয়ার পরও কমেছে আসন সংখ্যা। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি কিন্তু কংগ্রেস–এনসিপি ১০০টি আসন লাভ করেছে।’
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, 'শক্তিশালী বিরোধী দল হিসাবে মানুষ তাদের ওপরই ভরসা করেছে। যারা রাজনীতিতে ক্ষমতা নিয়ে অহংকার করে এটা তাদের জন্য অবশ্যই শিক্ষনীয়। আম জনতা সন্ত্রাস ও ক্ষমতার রাজনীতির প্রভাবে আসতে অস্বীকার করেছে এবং তাদের রায় । কুর্নিশ জানাই সেই সব ভোটারদের।’ উদ্ধব ঠাকরে বলেন, 'আমরা যদি ফলাফল দেখি, এটা সত্যি বিস্ময়কর।’ অন্যদিকে তিনি আবার বলেছেন, 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঠিক নয়, তুমি যদি অহংকার দেখাও, তবে তার ফল দেখতে পাবে। ভোটাররা যেটা বিজেপিকে কটাক্ষ করে শিবসেনা জানিয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরোধীদের শেষ করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্র স্টেট কপারেটিভ ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় ইডি নাম জড়ায় শরদ পাওয়ারের। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু এনসিপি নেতাকে হেনস্থাও করে বিজেপি। শিবসেনা জানান শরদ পাওয়ার প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তিনি বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ে বেশি ক্ষমতাশীল।
দিল্লির বাতাস দূষিত হতে শুরু করেছে দিওয়ালির আগেই