মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধীর ব্যাংকক ভ্রমণকে কটাক্ষ শিবসেনার
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধীর ব্যাংকক ভ্রমণকে কটাক্ষ শিবসেনার
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ব্যাংকক ভ্রমণকে কটাক্ষ করল শিবসেনা। শিবসেনার মুখবন্ধ 'সামানা’ রাহুল গান্ধীর পাটায় ভ্রমণকে একহাত নিয়ে লেখে 'লোকসভা ভোটের সময় যেখানে রাহুল গান্ধী নিজেই মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন সেখানে লোকসভা ভোট মিটতেই রাজনীতির ময়দানে তার টিকিটিও দেখা যায়নি।’
দেবেন্দ্র ফরণবীশ সরকারের 'নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে রাহুলের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে শিবসেনার মুখবন্ধ আরও লিখছে ' ঠিক যে সময়ে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় কংগ্রেস যখন একাকী লড়াইয়ের পথে হাঁটছে তখন তাদেরই নেতা ব্যাংকক পাটায়া পরিভ্রমণে ব্যস্ত।’ রাহুল গান্ধীর মত একজন জননেতার ব্যাংককের মতো জায়গায় ভ্রমণ তার রাজনৈতিক সচেতনতাকেই প্রশ্ন চিহ্নের সামনে ফেলে দেয় বলে মত এই শিবসেনার এই মুখবন্ধের।
'সামানা’-য় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ব্যঙ্গাত্মক সুরে এও বলা হয়েছে 'রাহুল তার এই অদূরদর্শী কর্মকাণ্ডের জন্য যখনই প্রশ্নের সামনে পড়বেন তখনই আবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে তার পুনার্বিভাব ঘটতে দেখা যাবে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারকে প্রশ্ন করবেন আম-আদমির ট্যাক্সের টাকা নিয়ে সরকার কি করছে ? রাহুলের মনে রাখা প্রয়োজন সরকার যদি সত্যি মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারে এবং নিষ্ক্রিয় ও অযোগ্য হয় তাহলে মানুষই তার প্রতিফলন ভোট-বাক্সে করবেন।’ প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয় 'মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের শক্তি এতটাই কমে এসেছিল যে রাজনীতির ময়দানে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তাদের তৃণমূল স্তরের কর্মীরা ক্রমেই বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে কংগ্রেসেরই প্রথম সারির একাধিক নেতার রাজনৈতিক অদূরদর্শীতা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণেই।’
ইতিমধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিবসেনার এই প্রতিবেদনটিতে বলা হয় 'প্রচারে বেরিয়ে রাহুল অভিযোগ করেন বলেন ফড়নবীশ ও অমিত শাহরা কেউই বেকারত্ব ও পিএমসি ব্যাঙ্ক দুর্নীতির বিষয় নিয়ে কোনও নিয়ে কোনও কথা বলছে না। ’ রাহুলের এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিবেদনটি বলা হয় ' রাহুল বা বিজেপি নেতারা অপ্রাসঙ্গিক ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি থেকে ক্রমাগত মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি ঘোরানোর চেষ্টা করে চলেছে। একটা মৃতপ্রায় রাজনৈতিক দলের কখনওই নিজেদের অযোগ্যতার কথা মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত না।’
মহারাষ্ট্রে ১ কোটি কর্ম সংস্থানের প্রতিশ্রুতি বিজেপির ইস্তেহারে