'অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ বেআইনি', সুপ্রিমকোর্টে যেতে প্রস্তুত সেনা জোট
মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে সমর্থন জানানোর দুই দিনের মধ্যেই কী তবে কেলেঙ্কারিমুক্ত হয়ে গেলেন এনসিপি নেতা তথা বর্তমানে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্য়মন্ত্রী অজিত পাওয়ার? প্রশ্নটি উঠতে শুরু করেছিল সোমবার। পুরোপুরি ক্লিনচিট না দেওয়া হলেও তাঁর বিরুদ্ধে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সেচ দপ্তরের দুর্নীতির ৯টি মামলা বন্ধ করে দেওয়া হল। যার পর সোচ্চার হয় বিরোধীরা। বিশেষ করে শিবসেনা। অজিতের বিরুদ্ধে সেচ দুর্নীতি সংক্রান্ত মোট ২০টি মামলা রয়েছে। এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে যআওয়ার কথা ভাবছে শিবসেনা।
পিটিশন নিয়ে তৈরি সেনা, এনসিপি, কংগ্রেস
জানা গিয়েছে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সরকারের ৯টি মামলা বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ইতিমধ্যেই পিটিশন তৈরি করে ফেলেছে শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে আস্থা ভোট না হওয়া পর্যন্ত ফড়নবিশের সরকরার এরকম কোনও বড় পদক্ষেপ নিতে পারে না। পাশাপাশি তাদের দাবি অজিতের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত বেআইনি। তারা শীর্ষ আদালতের কাছে মহারাষ্ট্রের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ চাইবে।
|
'নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই চলছে তদন্ত'
যদিও মহারাষ্ট্র দুর্নীতি দমন শাখার দাবি, এই মামলাগুলির সঙ্গে অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর কোনও সম্পর্কই নেই। এই বিষয়ে মহারাষ্ট্র দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অফিসার পরমবীর সিং সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, "সেচ দপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে আমরা প্রায় ৩০০০ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছি। এগুলির সবই রুটিন তদন্ত এবং সেগুলির মধ্যে কয়েকটিকে বন্ধ করা হয়েছে। তবে যেই অভিযোগগুলির তদন্ত চলছিল, সেগুলি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই চলছে। যে এফআইআরগুলি বন্ধ হয়েছে, তার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ারের কোনও সম্পর্ক নেই।"
৭০ হাজার কোটির সেচ কেলেঙ্কারি
২০১০ সালে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত। ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২-র সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অজিত পাওয়ার। সেচ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর ইস্তফা দিয়ে জানান, এই অভিযোগ থেকে নিজের নাম মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিধায়ক হিসেবে সেবা করবেন। কোনও মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করবেন না। সেই সময় বিদর্ভের উন্নয়ন খাতেও কয়েক হাজার কোটি টাকায় দুর্নীতিতে নাম জড়ায় তাঁর।
অজিতের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন ফড়নবিশ
এরপর ২০১৪ সালে দেবেন্দ্র ফড়নবিস প্রথমবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অজিতের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন। ফড়নবিস ঘোষণা করেন, শীঘ্রই অজিতের জায়গা হবে আর্থার রোড জেলে। এরপর অক্টোবর মাসে বিধানসভা ভোটের আগেও ইডির তদন্ত হয় এই নিয়ে। এর জেরে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত। শুধু অজিত নন, তাঁর কাকা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সহ দলের ৭০ জন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি।