মোদী নন, ২০১৯-এ প্রধানমন্ত্রী নীতীন! জল্পনা উসকে দিল বিজেপির দীর্ঘদিনের শরিকই
২০১৯-এ কি তবে মোদী হাওয়ায় ভরসা নেই! সেমিফাইনাল যুদ্ধে মোদী ঝড় থেমে যেতেই শরিকরা সব বাঁকা কথা বলতে শুরু করেছেন।
২০১৯-এ কি তবে মোদী হাওয়ায় ভরসা নেই! সেমিফাইনাল যুদ্ধে মোদী ঝড় থেমে যেতেই শরিকরা সব বাঁকা কথা বলতে শুরু করেছেন। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে এবার নীতীন গড়কড়িকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব উঠে পড়ল। আর এই প্রস্তাব দিল এক এনডিএ শরিকই। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউথ দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গড়কড়ির নাম।
১৯-এর রোডম্যাপের পরই অস্বস্তি
একদিন আগেই লোকসভা নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে বিজেপি। ১৭টি কমিটি গড়ে লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্ব বণ্টন করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর। রবিবার দিল্লিতে প্রধান কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর অমিত শাহ ১৭টি কমিটির মাথায় রাখেন রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, নীতীন গড়কড়িদের মতো বিরোধী লবির নেতাদের।
প্রধানমন্ত্রিত্বে নীতীন গড়কড়ির নাম
তারপরই শিবসেনার তরফে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে নীতীন গড়কড়ির নাম। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে একা লড়ার বার্তা আগেই দিয়ে রেখেছে শিবসেনা। এবার সেই শিবসেনাই প্রধানমন্ত্রী বদলের দাবি তুলে দিল। সঞ্জয় রাউথের সাফ কথা, ত্রিশঙ্কু হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁদের প্রথম পছন্দ নীতীন গড়কড়ি।
ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি! মোদীই দায়ী
শিবসেনা সাংসদের অভিযোগ, ১৯-এর নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাই অবিলম্বে ২০১৯ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদল জরুরি হয়ে পড়েছে। আর তা করতে হবে ক্ষমতায় ফিরতে।
নীতীন এখনই হোক উপপ্রধানমন্ত্রী
এর আগে অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সঙ্ঘপ্রিয় গৌতম বলেন, ২০১৯-এ ঘুরে দাঁড়াতে অবিলম্বে পরিবর্তন প্রয়োজন শীর্ষ নেতৃত্বে। নীতীন গড়কড়িকে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেন। আর শিবরাজ সিং চৌহানকে বিজেপির সভাপতি করার প্রস্তাব দেন তিনি। একইসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথকে ধর্ম-কর্মে পাঠিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজনাথ সিংয়ের বনাম প্রস্তাব করেন।