মোদীতে কেন ঘোর আপত্তি শিবসেনার, কেন আস্থা নীতীনে! কারণ দর্শালেন সাংসদ
বিজেপিতে মুখ বদলের আওয়াজ তুলেছে শরিক শিবসেনা। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে নীতীন গড়কড়িকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ।
বিজেপিতে মুখ বদলের আওয়াজ তুলেছে শরিক শিবসেনা। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে নীতীন গড়কড়িকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ। তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। কেন মোদীকে সরিয়ে নীতীন গড়কড়িকে বিজেপির মুখ করার দাবি উঠছে বিজেপি ও এনডিএ-তে তাঁরা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সাংসদ।
শিবসেনার প্রথম পছন্দ নীতীন গড়কড়ি
শিবসেনার তরফে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে নীতীন গড়কড়ির নাম। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে একা লড়ার বার্তা আগেই দিয়ে রেখেছে শিবসেনা। এবার সেই শিবসেনাই প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদলের দাবি তুলে দিল। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউথের সাফ কথা, ত্রিশঙ্কু হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁদের প্রথম পছন্দ নীতীন গড়কড়ি।
কেন মোদী নন, ব্যাখ্যা শিবসেনার
শিবসেনা সাংসদের অভিযোগ, ১৯-এর নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাই অবিলম্বে ২০১৯ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদল জরুরি হয়ে পড়েছে। আর তা করতে হবে ক্ষমতায় ফিরতে।
রামমন্দির ফ্যাক্টর মোদীর
বিজেপি তথা এনডিএ এবারও নরেন্দ্র মোদীকে মুখ করে এগোতে চাইছে। সেইভাবেই অঙ্ক কষে এগোচ্ছে তাঁরা। ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রোডম্যাপ তৈরিও করে ফেলেছে বিজেপি। কিন্তু শিবসেনা ভাবছে অন্য নাম। কিন্তু কেন? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এ ব্যাপারে রামন্দির একটা বড় ইস্যু। রামমন্দির নিয়ে শিবসেনা চাপ সৃষ্টি করেছে বারবার। কিন্তু মোদী এখনও সঙ্ঘের পরামর্শ না মেনে আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে।
সঙ্ঘের পছন্দের নীতীন
নীতীন গড়কড়ি সঙ্ঘের খুব পছন্দের। তারপর তাঁর ভাবমূর্তিও খুব স্বচ্ছ। বিরোধী দলগুলির সঙ্গে তিনি সখ্যতা রেখে চলেন। তাঁর সঙ্গে বিরোধী দলের সাংসদদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তিনি যেমন বিরোধীদের প্রশংসা করতে দুবার ভাবেন না, তেমনই তিনি বিরোধীদের দ্বারাও সমালোচিত হন না সে অর্থে। বিজেপির ঘুরে দাঁড়াতে সেই ভাবমূর্তি দরকার এখন।
চাঁছাছোলা কথা নীতীনের
এর আগে নীতীন গড়কড়ি দলের ব্যর্থতা নিয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্বকে দায়ী করেন। তিনি বিজেপির হারের দায় রাজ্য নেতৃত্বের উপর চাপিয়ে দেওয়ার ঘোর বিরোধিতা করে জানিয়ে দেন, সাফল্যের সময় কৃতিত্ব নিলে তো ব্যর্থতার সময় দায় নিতেই হবে। মোদীর উপর যাতে ব্যর্থতার দাগ না পড়ে তার জন্য রাজ্যের ঘাড়ে বন্দুক রাখা হয়। তাতেই ফোঁস করে ওঠেন নীতীন।