আগে মন্দির, পরে সরকার, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন প্রসঙ্গে শিবসেনা-বিজেপি সম্পর্কের টানাপোড়ন নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন তোলপাড় তখন রাম মন্দির প্রসঙ্গে 'বিতর্কিত’ মন্তব্য করলেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এক টুইট বার্তায় সরকার গঠন নিয়ে নতুন করে 'বিতর্ক’ উস্কে দিলেন ওই সেনা সাংসদ।

সরকার গঠনের থেকেও মন্দির তৈরিই এখন বড় লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে শিবসেনার কাছে। শনিবার অযোধ্যা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়দানের পর শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত 'জয় শ্রী রাম’ স্লোগান আউড়ে এক টুইট বার্তায় বলেন, " আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির হবে, তারপর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের বিষয়ে ভাবা যাবে। " প্রথম দিন থেকেই অযোধ্যাতে রাম মন্দিরের দাবিতে অনড় ছিলেন শিবসেনার ওই রাজ্য সভার সাংসদ। তিনি যে সরকার গঠনের থেকেও অযোধ্যাতে মন্দির তৈরির ব্যাপারে বেশি উচ্ছ্বসিত, তা এদিনের টুইট বার্তাতেই স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে শিবসেনা-বিজেপির মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা চরমে পৌঁছায়। মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ইতিমধ্যেই একটি সাংবাদিক সম্মেলনে করে সেনা প্রধান উদ্ধভ ঠাকরেকে “মিথ্যেবাদী” বলে কটাক্ষ করেন। মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে বিজেপি কখনোই শিবসেনার সঙ্গে কোনোরকম আপস করবে না বলে এদিন সাফ জানিয়ে দেন গেরুয়া শিবিরের ওই মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধভ ঠাকরের গলাতেও বিজেপির সাথে জোট করা নিয়ে আফসোসের সুর শোনা যায়।
এদিকে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, সহ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ৯ই নভেম্বর অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়টি দেন। অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে মন্দির তৈরির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সায় মেলার পরেই তুমুল উচ্ছ্বাস দেখা যায় শিবসেনা সহ বিজেপির প্রায় সকল শরিক দলে মধ্যে। সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি-শিবসেনা জোট প্রশ্নচিহ্নের সামনে পড়লেও মন্দির তৈরি নিয়ে যে তারা ঐক্যবদ্ধ তা সঞ্জয় রাউতের টুইটার বার্তাতেই স্পষ্ট।